সমকালীন প্রতিবেদন : বিতর্কের কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। অভিযোগ উঠেছে, টাকার বিনিময়ে ‘হিন্দু জাতির সার্টিফিকেট’ দেওয়া হচ্ছে তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত এক সেবাশ্রমের মাধ্যমে। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দিলেন বনগাঁ পুরসভার প্রধান গোপাল শেঠ।
গোপাল শেঠের অভিযোগ, সিএএ-র নামে আয়োজিত শিবিরগুলিতে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, “রাজ্য কিংবা কেন্দ্র—কোনও সরকারই তো বলেনি এইভাবে সিএএ শিবির করার কথা। তাহলে তাঁকে কে দায়িত্ব দিলো এইভাবে শিবির করার?”
পুরপ্রধানের আরও অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে কিছু লোককে এনে নির্দিষ্ট আইনজীবীদের মাধ্যমে নোটারি করিয়ে তাঁদের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা হিসেবে পরিচয়পত্র তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। পরে সেই ব্যক্তিদের হাতে ‘হিন্দু সার্টিফিকেট’ তুলে দেওয়া হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে নাগরিকত্ব প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা হতে পারে।
অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল। তাঁর বক্তব্য, “গোপালবাবু নানান জায়গায় অভিযোগ করে বেড়ান, কিন্তু কোনওটিরই ভিত্তি নেই। কোথায় অভিযোগ করছেন, কী রিপোর্ট আসছে—কেউ জানে না। আসলে ভোটার তালিকা সংশোধন ও নাগরিকত্বের আবেদন দেখে ওরা ভয় পাচ্ছে। ক্ষমতা চলে যাওয়ার আশঙ্কাতেই এইসব অভিযোগ।”
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই বনগাঁর রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সিএএ এবং নাগরিকত্ব ইস্যুকে ঘিরে আসন্ন সময়ে রাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে আরও চাপানউতোর বাড়তে পারে। এখন দেখার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই অভিযোগে কী পদক্ষেপ করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন