Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫

ঠাকুরবাড়িতে সিএএ প্রশিক্ষণ শিবির ও ফর্ম ফিলাপ ক্যাম্পে উপচে পড়া ভিড়

 

CAA-camp-in-Thakurbari

সমকালীন প্রতিবেদন : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক আবহ ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি নেতারা নাগরিকত্বের ফর্ম ফিলাপ শিবির চালু করেছেন। সেই প্রেক্ষাপটেই ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো সিএএ প্রশিক্ষণ শিবির ও ফর্ম ফিলাপ ক্যাম্প, যেখানে সকাল থেকেই মতুয়া ভক্ত ও সাধারণ মানুষের ভিড় চোখে পড়ে।

গত কয়েক দিন ধরেই ঠাকুরবাড়িতে চলছে সিএএ সংক্রান্ত ফর্ম ফিলাপ ক্যাম্প। মঙ্গলবার ঠাকুরবাড়ির নাটমন্দিরে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ শিবিরে নদীয়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া সহ বিভিন্ন জেলা থেকে বহু মানুষ যোগ দেন। শিবিরে অংশগ্রহণকারীরা শিখছেন, কীভাবে নাগরিকত্বের আবেদন ফর্ম পূরণ করাতে হবে এবং এর জন্য কোন নথিপত্র প্রয়োজন।

এদিন ক্যাম্পে ফর্ম ফিলাপের জন্যও দেখা যায় দীর্ঘ লাইন। সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি তথা বনগাঁর ‌বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর জানান, “এই শিবিরে বহু মানুষ এসে অংশ নিচ্ছেন। প্রায় দশ হাজারের বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই সিএএ-র ফর্ম ফিলাপ করেছেন এবং শতাধিক মানুষ নাগরিকত্বও পেয়েছেন।”

তৃণমূল কংগ্রেসকে এক হাত নিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, “তৃণমূল ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে এবং সিএএ নিয়ে ভীতি তৈরি করছে। ফর্ম ফিলাপ করলে কেউ বেনাগরিক হয়ে যাবে না।”

সিএএ-র আওতায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০১৪ সালের আগে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া সম্প্রদায়ের বড় অংশ বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থী হওয়ায় এই আইন তাদের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।

মতুয়া ভোটব্যাঙ্ককে ঘিরে গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক লড়াই চলছে। বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করছে, সিএএ কার্যকর হলে বহু মতুয়া নাগরিকত্বের স্বীকৃতি পাবেন। অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, এই আইন মানুষকে বিভ্রান্ত করছে এবং নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ঠাকুরবাড়িতে আয়োজিত এই ক্যাম্প ও প্রশিক্ষণ শিবির তাই শুধু প্রশাসনিক বা সামাজিক উদ্যোগ নয়—এটি আগামী নির্বাচনের আগে মতুয়া রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতেও পরিণত হয়েছে।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন