Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫

পাকিস্তানি প্লেয়ারের ৫৩ বলে শতরানের রেকর্ড ভেঙে বিশ্বরেকর্ড বৈভবের

 

World-record-holder-Vaibhav

সমকালীন প্রতিবেদন : মাত্র ১৪ বছর বয়সে নিজের নাম তুলে ফেলল বিশ্বরেকর্ডে। ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় মুখ হিসেবে উঠে এল বৈভব সূর্যবংশী। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ৫২ বলে সেঞ্চুরি করে গড়েছে এক অভূতপূর্ব নজির। ভেঙে দিয়েছে পাকিস্তানের কামরান গুলামের গড়া ৫৩ বলে শতরানের রেকর্ড। বয়সে কাঁচা হলেও মানসিকতায় যথেষ্ট পরিণত বৈভব। ম্যাচ শেষে বিসিসিআইয়ের প্রকাশিত এক ভিডিওয় এই তরুণ জানায়, “জানতামই না যে রেকর্ড করে ফেলেছি। দলের জন্য কিছু করতে পেরেই সবচেয়ে বেশি আনন্দ হচ্ছে। ব্যক্তিগত কৃতিত্ব নয়, দলের জয়টাই আমার কাছে বড়।”

ক্রিকেট বিশ্বে এখন উঠতি তারকাদের মধ্যে অন্যতম নাম শুভমান গিল। তাঁর স্টাইল, টেম্পারামেন্ট, বড় ইনিংস খেলার ক্ষমতা ইতিমধ্যেই তরুণ ক্রিকেটারদের আদর্শ হয়ে উঠেছে। বৈভবও ব্যতিক্রম নয়। সরল স্বীকারোক্তিতে জানায়, “শুভমান দাদার ব্যাটিং দেখে প্রচুর শিখেছি। ও যেভাবে নিজের ইনিংস বড় করেছে, একের পর এক সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি করেছে, তা দারুণ অনুপ্রেরণাদায়ক। আমি চেষ্টা করি ওর মতো স্থির থেকে ইনিংস গড়তে।” 

বৈভবের ব্যাটিংয়েও মিলেছে সেই পরিণত ছাপ। রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরির পরে আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে তার ব্যাট। শেষ পর্যন্ত ৭৮ বলে ১৪৩ রানে থামে এই বাঁহাতি ব্যাটারের ইনিংস। ১৩টি চার ও ১০টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ঝোড়ো ইনিংস। বৈভব এখন থেকেই তাকিয়ে আরও বড় রানে। আত্মবিশ্বাসী গলায় সে জানায়, “পরের লক্ষ্য ৫০ ওভার ব্যাট করে ২০০ করা। জানি কঠিন, কিন্তু আমি চেষ্টা চালিয়ে যাব।”

বয়স মাত্র ১৪। তবে মাঠে তার ব্যাটিং দেখে সেটা বুঝে নেওয়া কঠিন। শর্ট বলে পুল শট, অফস্টাম্পের বাইরের বলে স্কয়ার ড্রাইভ, স্পিনারদের বিরুদ্ধে স্টেপ আউট করে ছয়—যেমন প্রয়োজন, তেমন শট নির্বাচন। বৈভবের এই ইনিংসের পর প্রশংসায় ভেসেছে সে। জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির কোচরা ইতিমধ্যেই নজরে রেখেছেন তাকে। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া টুইট করে লেখেন, “১৪ বছর বয়সে বিশ্বরেকর্ড গড়া সহজ নয়। বৈভব সূর্যবংশীকে দেখে মনে হচ্ছে, ভবিষ্যতের বড় তারকা জন্ম নিচ্ছে।” 

শুধু ব্যাটিং নয়, ফিল্ডিংয়েও গতিময়তা ও প্রতিক্রিয়ার ঝলক দেখা গেছে বৈভবের পারফরম্যান্সে। বৈভব সূর্যবংশীর এই ইনিংস শুধু একটা রেকর্ড নয়। এটা ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের সম্ভাবনার এক ঝলক। প্রযুক্তি, ডায়েট, প্রশিক্ষণ—সব মিলিয়ে আধুনিক প্রজন্মের ক্রিকেটাররা এখন অনেক বেশি পরিণত। 

বৈভব সেই ধারারই এক উজ্জ্বল প্রতিনিধি। তার চোখে এখন আরও বড় স্বপ্ন—একদিন নীল জার্সি গায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। আর যদি সেই স্বপ্ন সফল হয়, তাহলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের এই ম্যাচটিই হয়তো পরবর্তীকালে রেফারেন্স হয়ে থাকবে—‘যেখান থেকে শুরু হয়েছিল এক ইতিহাসের পথচলা।’‌






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন