Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫

ধরমপুকুরিয়া পঞ্চায়েত সদস্যার কয়েক বিঘা জমির ফসল নষ্ট ঘিরে উত্তেজনা

Crops-destroyed

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌বনগাঁ ব্লকের ধরমপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কৃষিজমির ফসল নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বনগাঁ থানার চাঁদা রায়পুর মাঠপাড়া এলাকায় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা টিংকু তরফদারের কয়েক বিঘা জমিতে লাগানো পটল, ধান এবং কলা গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সোমবার সকাল থেকেই গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়।

ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক তথা পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী বরুণ তরফদার অভিযোগ করেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর ফসল নষ্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে তিনি প্রতিবেশী রুহিদাস মণ্ডল এবং তার ছেলে রাকেশ মণ্ডলের বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বরুণবাবুর অভিযোগ, “গ্রামে একটি রাস্তা তৈরি নিয়ে রুহিদাসের সঙ্গে আমার বচসা হয়েছিল। সে গ্রামবাসীদের সমস্যায় ফেলে ব্যক্তিগত রাস্তা তৈরির চেষ্টা করছিল। আমি বাধা দিই। তার প্রতিশোধ হিসেবেই সে আমার বহুদিনের পরিশ্রমে তৈরি ফসল নষ্ট করে দিল।”

ঘটনার খবর ছড়াতেই সোমবার সকালে এলাকায় পৌঁছে যান বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা অশোক কীর্তনীয়া এবং বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। তাঁরা গ্রামে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জমি ঘুরে দেখেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি তোলেন।

বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া জানান, 'এই জমির উপর ভরসা করেই সংসার চলে বরুণ তরফদারের। শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে আজ তার এতোবড় ক্ষতি করা হলো। পুলিশের কাছে দাবি, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে যেন অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। '

জেলা সভাপতি দেবদাস মন্ডল অভিযোগ করেন, 'অনৈতিকভাবে রাস্তা তৈরিতে বাধা দেওয়ায় গতকালই রুহিদাস বরুন তরফদারকে হুমকি দিয়েছিল। আর তারপরই এই ঘটনা ঘটে।'‌ তাঁর আরও অভিযোগ, 'মাত্র কয়েক বছর আগে রুহিদাস বাংলাদেশ তেকে এদেশে এসেছে। তারমধ্যেই ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড করে নিয়েছে। প্রসাসনের কাছে দাবি জানাই, কিভাবে তা সম্ভব হল, তদন্ত করে দেখা হোক।'

যদিও এব্যাপারে ধরমপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস মন্ডল জানান, অভিযুক্তর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে এই ঘটনায় যে–ই দোষী হোক বা যে দলেরই হোক না কেন, পুলিশ যেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। 

‌পুলিশ জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জমি ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে।  এই ঘটনার জেরে গ্রামে চাপা উত্তেজনা ছড়িয়েছে। রাজনৈতিক রং লেগে যাওয়া এই ঘটনায় প্রশাসন সতর্ক নজর রাখছে বলে জানা গেছে।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন