সমকালীন প্রতিবেদন : উত্তর বঙ্গোপসাগরে ২৪ জুলাই একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এর অভিমুখ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে হলেও, ইতিমধ্যেই এটি শক্তি সঞ্চয় করে দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তর ওড়িশার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর প্রত্যক্ষ প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
২৪ জুলাই থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হয়েছে। আজ, ২৫ জুলাই সেই বৃষ্টির তীব্রতা আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস। পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার কিছু এলাকায় অতিভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নির্দিষ্ট এলাকাতেও ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
পরবর্তী দিনগুলির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ২৬ জুলাই পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম ও বীরভূমে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। ২৭ জুলাই উপকূলবর্তী দুই ২৪ পরগনা ও পূর্বের জেলাগুলিতে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
২৮-২৯ জুলাই একটি নতুন ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে, যার প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ আবারও বাড়তে পারে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া ও হুগলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও বৃষ্টির প্রকোপ অব্যাহত থাকবে। আজ, ২৫ জুলাই কলকাতায় ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৬ ও ২৭ জুলাই মাঝারি বৃষ্টি চলবে, আর ২৮ থেকে ২৯ জুলাই ফের বৃষ্টির দাপট বাড়বে শহরজুড়ে।
২৫ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। তবে এই নিম্নচাপের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
নিম্নচাপ ঘনিয়ে ওঠার আবহে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির প্রকোপে ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। বাঁকুড়ায় ৮ জন, পূর্ব বর্ধমানে ৬ জন, দক্ষিণ দিনাজপুর, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ জন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। অধিকাংশ মৃত্যুই হয়েছে মাঠে কাজ করতে যাওয়ার সময় বজ্রাঘাতে।
সমুদ্র উত্তাল থাকায় ২৮ জুলাই পর্যন্ত মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন