সমকালীন প্রতিবেদন : রিল দেখে দিনে মাত্র দু বার খেলেই রোগা? ‘টু মিল আ ডে’ ডায়েট করার প্রবণতা আপনার মধ্যেও? এতে কতটা লাভ বা ক্ষতি? না জেনে ভুল করলেই বিপদ! 'সিস্টেম' টা জানা জরুরী। সত্যিই কি চটজলদি ওজন কমে? এই ‘শর্টকাট’ উপায়টি আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত তো?
প্রথমেই বলি, ডায়েটের সঙ্গে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এর খানিকটা মিল আছে। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন এই ডায়েটে দিনে মাত্র দু’বার খাওয়া যায়, আর বাকি সময়টা উপোস করেই কাটাতে হয়। মানে সারা দিনে অনেকখানি সময় উপোস করেই থাকা যাকে বলে। বিশেষ করে এটা তাঁদের জন্য দারুন ব্যাপার, যাঁরা নানা ব্যস্ততার মাঝে প্রতিদিন শরীরচর্চা করার সময় পান না, তাঁদের কাছে এই প্রকার ডায়েট একেবারে হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো। কিন্তু রোগা হওয়ার চক্করে এই অভ্যাস কারও কাজে লাগছে। কারও তো আবার হিতে বিপরীত।
অনেকেই রিল দেখে হুজুগে পড়ে এই দুবার মিল নেওয়া শুরু করে বিপদে পড়েছেন। কেউ অফিসেই মাথা ঘুরে পড়ে গেছেন। কেউ কেউ ভুঁড়ি কমাতে রিল দেখে দিনে দু’বার খাওয়া শুরু করেই বুঝেছেন এই ডায়েট আবার তার জন্য নয়। তাহলে কি সত্যিই এটা ক্ষতিকর? পুষ্টিবিদদের একাংশ কিন্তু অন্য কথা বলছেন।
পুষ্টিবিদদের মতে, ‘টু মিল আ ডে’ ডায়েট করার সময় শরীরে যেন প্রয়োজনীয় ক্যালোরির ঘাটতি না হয়, সে দিকে নজর রাখা ভীষণ জরুরি। প্রতিটি মিলে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, গুড ফ্যাট, খনিজ আর ভিটামিনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে হবে। এই ডায়েট করলে কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ানো জরুরি। এই ডায়েট করলেও মাঝেমাঝেই কিন্তু ফল, ফলের রস, চা, নানা প্রকার বীজ, বাদাম খাওয়া যেতে পারে। আর দিনে বেশি করে জল খাওয়াও খুব দরকার।
এবার এটাও তো জানা দরকার যে, দিনের খাবারে কী কী থাকলে শরীরে পুষ্টির অভাব হবে না? পুষ্টিবিদদেরই একাংশ বলছেন, কোনও রিল দেখে এমন ডায়েট শুরু করবেন না। পুষ্টিবিদদের সঙ্গে পরামর্শ করেই এই প্রকার কোনও ডায়েট শুরু করা উচিত। সেক্ষেত্রেও জেনে নিন এই ধরণের ডায়েট পদ্ধতি।
এই প্রকার ডায়েটে ধরুন সকালে আপানি ৮ টা কিংবা ৯ টা নাগাদ প্রাতরাশ করলেন, সে ক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন, রাত ৮-৯টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নিতে। শরীরে কোনওরকম ক্রনিক অসুখ থাকলে এই ডায়েটের দিকে না ঝোঁকাই ভাল। শিশু, বৃদ্ধরা ভুলেও এই ডায়েট করবেন না। ডায়াবেটিকদের জন্যেও এই ডায়েট উচিত নয়। যাঁদের ওজন বেশি, তাদের জন্য এই ডায়েট কাজে আসে। এই ডায়েটে শরীরের বিপাক ভাল থাকে। শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট বাড়ে, স্মৃতিশক্তি ভাল রাখতেও সাহায্য করে। তবে যা করবেন সবটাই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন