সমকালীন প্রতিবেদন : পূর্ব ভারতের সীমান্তবর্তী জেলা থেকে কাজের খোঁজে পশ্চিম ভারতে যাওয়া–এ নতুন নয়। কিন্তু এবার বাংলায় কথা বলার কারণেই বাংলাদেশি নাগরিক সন্দেহে পুলিশের জেরার মুখে পড়লেন উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের এক তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ে।
জানা গেছে, গোপালনগরের খাবরাপোতা আলাকালিপুর গ্রামের বাসিন্দা পারবিনা বিবি দুই সপ্তাহ আগে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ে পরিচারিকার কাজে। কিন্তু সেখানে কাজের জায়গায় বাংলায় কথা বলতেই সন্দেহের চোখে দেখেন স্থানীয় কিছু মানুষ। পরে পুলিশের কাছে খবর পৌঁছায় এবং মুম্বই পুলিশ এসে পারবিনাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
পারবিনার অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে বাংলাদেশি সন্দেহে নানা প্রশ্নে জর্জরিত করে। বাড়ি সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় তাঁর পরিচয় নিয়ে আরও সন্দেহ প্রকাশ করে পুলিশ। তিনি আধার, ভোটার কার্ড সহ সমস্ত ভারতীয় নথি দেখালেও প্রথমে তা মানতে চায়নি পুলিশ।
এদিকে মুম্বই পুলিশ সরাসরি যোগাযোগ করে গোপালনগর থানার সঙ্গে। স্থানীয় পুলিশ তাঁদের এলাকায় গিয়ে পারবিনার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এবং সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হয়, তিনি ভারতীয় নাগরিক। সেই রিপোর্ট পৌঁছানোর পর পারবিনাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তাঁকে একটি লিখিত বিবৃতি দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। বর্তমানে পারবিনা এখনও মনের ভিতর আতঙ্ক নিয়েই মুম্বইতেই কাজ করছেন।
পারবিনার বাবা–মা জানান, বিয়ে হলেও স্বামীর ঘর করতে না পারায় পেটের দায়ে ভিন রাজ্যে কাজে যেতে হয়েছে পারবিনাকে। কিন্তু সেখানে গিয়ে নতুন সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় চিন্তিত পরিবারের লোকেরা। এর আগেও একই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছিলেন গোপালনগরের আকাইপুর এলাকার এক যুবক। সেখানেও প্রায় একই পদ্ধতিতে মুম্বই পুলিশ তাঁকে আটক করে, পরে স্থানীয় থানার হস্তক্ষেপে মুক্তি মেলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন