সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির দাপট চলবে আরও কয়েকদিন। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের উপর অবস্থানরত নিম্নচাপ বর্তমানে প্রায় ৭.৬ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত একটি সাইক্লোনিক সার্কুলেশনে রূপ নিয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে আগামী দু’দিনের মধ্যে ঝাড়খণ্ড হয়ে ছত্তিশগড়ের দিকে এগোবে।
তবে নিম্নচাপ সরে গেলেও স্বস্তি নেই রাজ্যবাসীর জন্য। কারণ, বর্ষা এখনও সক্রিয় রয়েছে রাজ্যে, যার ফলে আগামী সাতদিন জুড়ে বজায় থাকবে বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গের দুই প্রান্তের জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানের জন্য। সেখানে বিক্ষিপ্তভাবে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কাও থাকছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়াতেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের দিকেও প্রকৃতির চোখ রাঙানি স্পষ্ট। মালদহ, আলিপুরদুয়ার এবং দার্জিলিঙে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে আগামী কয়েকদিন। কালিম্পঙে ১৪ ও ১৫ জুলাই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে ধস নামার আশঙ্কা করছে হাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা—যেমন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম-সহ কিছু এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১১ ও ১২ জুলাই অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। তবে ১৩ জুলাই জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ঝড়-বৃষ্টি এবং দুই ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গের নিচু এলাকাগুলিতে জল জমার আশঙ্কা রয়েছে, যার ফলে শস্যের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি—এই তিন জেলায় ১০ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। তবে ১৩ ও ১৪ জুলাই দক্ষিণবঙ্গজুড়ে বৃষ্টির প্রকোপ আরও বাড়বে বলেই পূর্বাভাস। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, চলতি বর্ষা মৌসুম চলবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তাই কমবেশি বৃষ্টি রাজ্যজুড়ে বজায় থাকবে এই সময়ের মধ্যেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন