সমকালীন প্রতিবেদন : পথ দূর্ঘটনায় হাঁটুতে মারাত্মকভাবে আঘাত পেয়ে লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া এক যুবককে জটিল অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা হল বনগাঁর একটি নার্সিং হোমে। স্বল্প পরিসরের পরিকাঠামো নিয়ে বনগাঁয় বসে এই অস্ত্রপচার যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং বলে জানিয়েছেন এই অস্ত্রপচারের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক দল।
জানা গেছে, মাস দুয়েক আগে বাগদার ঘাটপাতিলা এলাকার বাসিন্দা, বছর ২৪ বয়সের যুবক রাহুল তরফদার একটি পথ দূর্ঘটনায় পায়ে মারাত্মকভাবে আঘাত পান। সেইসময় তিনি হাঁটুর ব্যথায় হাটতে কষ্ট পাচ্ছিলেন। পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁর পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। তখনই অস্ত্রপচারের পরামর্শ দেন অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: চৈতন্য হালদার।
কিন্তু আর্থিক কারণে সেইসময় অস্ত্রপচার করাতে পারেনি যুবকের পরিবার। দিন দিন তাঁর হাঁটুর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সম্প্রতি এমআরআই করে দেখা যায়, তাঁর লিগামেন্ট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে রয়েছে। যার কারণে তিনি পায়ের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছেন। এই পরিস্থিতিতে অস্ত্রপচার অবসম্ভাবি হয়ে পড়ে।
শেষপর্যন্ত শুক্রবার বনগাঁর গঙ্গা নার্সিং হোমে অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: চৈতন্য হালদার, অ্যানাস্থিটিস্ট ডা: করুনাময় মন্ডল সহ চিকিৎসকদের সহযোগী একটি দল লিগামেন্ট প্রতিস্থাপনের দেড় ঘন্টার এই জটিল অস্ত্রপচার সফলভাবে সম্পন্ন করেন।
ডা: চৈতন্য হালদার বলেন, ডাক্তারি ভাষায় এই অস্ত্রপচারের নাম 'আর্থোস্কোপি পিসিএল রিকনস্ট্রাশন'। এটি যেমন ব্যয়সাপেক্ষ তেমনই বনগাঁর মতো একটি ছোট শহরে বসে এই অস্ত্রপচার করা পরিকাঠামোগতভাবে কঠিন। এক্ষেত্রে নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ এবং কলকাতার একটি সংস্থা সহযোগিতা করায় তা সম্ভব হয়েছে। অস্ত্রপচারের পর রাহুল তরফদার এখন ভালো আছেন বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন