সমকালীন প্রতিবেদন : ২০২৫ আইপিএলে ৩৫ বলে শতরান করে যেভাবে ক্রিকেটবিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন, এবার অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলের হয়ে ইংল্যান্ড সফরে সেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছেন বৈভব। ব্যাট হাতে বিস্ফোরক পারফরম্যান্স করে দেশের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এই কিশোর প্রতিভা-বৈভব সূর্যবংশী।
আর মাঠে তাঁর এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ম্যাচ ফি এবং উপার্জনের পরিমাণও। বলা যেতে পারে, এমন বয়সেই যা আয় করছেন, তা শুনলে বহু অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও চমকে যাবেন।
ক্রিকেট মহলে বৈভবের নাম আলোচনায় আসে ২০২৫ সালের আইপিএলে। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই রাজস্থান রয়্যালস তাঁকে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকায় দলে নেয়। আইপিএল ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে কমবয়সী কোনও খেলোয়াড়ের এমন দামী চুক্তি। ওই আসরে ৩৫ বলে শতরান করে একাই ম্যাচের রং বদলে দেন এই বিস্ময় বালক। সেই পারফরম্যান্সই তাঁকে রাতারাতি তারকা করে তোলে।
রাজধানীর আলো ছাড়িয়ে এবার বিদেশের মাটিতেও নিজেকে প্রমাণ করছেন বৈভব। অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলের সঙ্গে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে তিনি যে শুধু ব্যাটে ঝড় তুলেছেন তা-ই নয়, বরং একের পর এক নজির গড়েছেন। যুব ওয়ান ডে-তে মাত্র ৫২ বলে শতরান করে ভেঙেছেন একাধিক রেকর্ড। এর ফলে 'ভারতীয় ক্রিকেটের ওয়ান্ডার বয়' তকমায় মোড়ানো তাঁর নাম এখন সর্বত্র।
বিসিসিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, অনূর্ধ্ব-১৯ দলে যারা প্লেয়িং ইলেভেনের সদস্য হন, তারা প্রতিদিন ম্যাচ ফি হিসেবে পান ২০,০০০ টাকা। ইংল্যান্ড সফরের ৫টি ওয়ান ডে ম্যাচেই প্রথম একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন বৈভব। অর্থাৎ শুধু ওয়ান ডে সিরিজ থেকেই তাঁর আয় ১ লক্ষ টাকা।
এছাড়াও, চারদিনের একটি টেস্ট ম্যাচ খেলে পেয়েছেন আরও ৮০ হাজার টাকা। এখনও বাকি আরেকটি টেস্ট ম্যাচ, যেখানে খেললে তাঁর রোজগার আরও ৮০ হাজার টাকা বাড়বে। সব মিলিয়ে ইংল্যান্ড সফর থেকেই তাঁর ম্যাচ ফি বাবদ আয় দাঁড়াতে চলেছে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈভবের মধ্যে রয়েছে বিরল প্রতিভা। তাঁর শট সিলেকশন, ব্যাটিং মেজাজ ও গেম সেন্স পরিণত কোনও ক্রিকেটারের মতো। তাঁর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বড় ব্র্যান্ডের তরফে স্পনসরশিপের প্রস্তাব এসেছে, যার মধ্যে রয়েছে ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারক ও প্রযুক্তি সংস্থাও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন