সমকালীন প্রতিবেদন : বনগাঁ সাব ডিভিশনাল চেম্বার অব কমার্সের ব্যবসায়ী সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতায় বনগাঁর বসাকপাড়ায় সংগঠনের নিজস্ব দ্বিতল ভবন নির্মিত হলো। রবিবার বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে তারই উদ্বোধন হলো। উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন অব ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে, বনগাঁ পুরসভার প্রধান গোপাল শেঠ, রাজ্যস্তরের এবং বনগাঁর অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্মকর্তারা।
এব্যাপারে বনগাঁ সাব ডিভিশনাল চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক বিনয় সিংহ বলেন, সংগঠনের সদস্যদের অনেকদিনের আশা আজ পূরণ হলো। এই দিনটির কথা সারা জীবন মনে থাকবে। কোনওরকম চাপ সৃষ্টি না করে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী যে অর্থ সাহায্য করেছেন, তাই দিয়েই এই ভবন তৈরি করা হয়েছে। বনগাঁ পুরসভার প্রধান গোপাল শেঠ বলেন, বনগাঁ পুরসভা সবসময় ব্যবসায়ীদের পাশে আছে।
গত কয়েক বছরের মতো এদিনও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে মহিলা সহ মোট ৭০ জন রক্ত দান করেন। রক্তদাতার সংখ্যা আরও থাকলেও পরিকাঠামোগত কারণে এর তেকে বেশি রক্ত নেওয়া সম্ভব হয় নি। এদিন রক্তদানের জন্য দাতাদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি এদিনের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে গাছের চারাও বিলি করা হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানান, বাজারে গিয়ে সাধারণ মানুষের পকেট যাতে অতিরিক্ত চাপের মুখে না পড়ে, সেইজন্য সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে চালু হয়েছে ৮০০-র বেশি ‘সুফল বাংলা’ স্টল। এবার সেই সংখ্যা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, খোলা বাজারের পাশাপাশি এই সমান্তরাল সবজি বিপণনের মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ মানুষ অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন। ‘সুফল বাংলা’ স্টলের মাধ্যমে ন্যায্য দামে সবজি ও অন্যান্য কৃষিপণ্য কিনতে পারছেন তাঁরা।
তবে বর্ষার প্রভাবে সমস্যার কথাও তুলে ধরেন তিনি। তাঁর কথায়, “অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে অনেক ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। যার ফলে সবজির যোগান কমে গিয়েছে, দাম বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যেন অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াতে না পারেন, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।” রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে সাময়িক স্বস্তি পেলেও সাধারণ মানুষ চাইছেন স্থায়ী সমাধান। কৃষকদেরও দাবি, উৎপাদনের সঠিক মূল্য নিশ্চিত করেই যেন ভোক্তারা ন্যায্য দামে সবজি পান, সেদিকেও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন