সমকালীন প্রতিবেদন : বর্ষায় বাংলার বুকে বেড়াতে যাওয়ার সেরা ৫ ঠিকানা। এটা তো সত্যি, বর্ষাকালে ঘুরতে যাওয়ার একটা আলাদা মজা রয়েছে। বেশি দূর নয়, এই বাংলাতেই রয়েছে বেশ কিছু মনসুন ডেস্টিনেশন। হাতে ২-৩ দিন থাকলে অনায়াসেই ঘুরে আসতে পারবেন এইসব জায়গায়। একটু অফবিট জায়গায় যেতে চান? তেমন ঠিকানাও থাকছে আজকের এই প্রতিবেদনে।
গড়পঞ্চকোট : বর্ষায় রোমাঞ্চ চাইলে বেরিয়ে পড়ুন বাড়ি থেকে। ঘুরে আসুন গড়পঞ্চকোটে। পুরুলিয়া জেলার গড়পঞ্চকোট এখন পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের ডেস্টিনেশন। পাহাড়ে ঘেরা এই জায়গায় পাবেন ইতিহাসের ছোঁয়াও। চট করে ঘুরে আসা যায় পাঞ্চেত ড্যামও। সব মিলিয়ে ২-৩ দিনের জন্য আপনার আদর্শ মনসুন ডেস্টিনেশন হতে পারে এই জায়গা।
গেঁওখালি : একটু অফবিট জায়গা গেঁওখালি। মহিষাদলের কাছে ছোট্ট এই গ্রাম অনবদ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। রূপনারায়ণ ও হুগলি নদীর সঙ্গমস্থলে গেঁওখালি নিজের অপার সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পায়ে হেঁটেই ঘুরে দেখা যায় চারিপাশ। ভিড়ভাট্টা, কোলাহল থেকে দূরে গেঁওখালি একেবারে নিরিবিলি। তাই এই বর্ষায় একবার ঢুঁ মারা যেতেই পারে এখানে। মন্দ লাগবে না।
দিঘা-মন্দারমণি-তাজপুর : এই ডেস্টিনেশনটা আপনার জন্য খুব প্রিয় হতে পারে। বাঙালি মানেই মৎস্যপ্রেমী। আর এই বর্ষায় জমিয়ে মাছ ভাজা বা মাছের যে কোনো পদ খেতে চাইলে যেতে হবে সমুদ্রে। তা সে দিঘা হোক কিংবা মন্দারমণি বা তাজপুর। সমুদ্রের বিচে বসে বৃষ্টি উপভোগ আর সঙ্গে গরম ধোঁয়া ওঠা ফ্রেশ মাছ ভাজা। কেমন হবে বলুন তো আপনার উইকেন্ড ট্রিপ? ২-৩ দিন কিন্তু এক্কেবারে জমে যাবে।
টাকি : বর্ষায় ইছামতীর তীরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার টাকি থেকেও ঘুরে আসতে পারেন দু-তিনদিন। নদীর উপর নৌকায় বসে বৃষ্টি উপভোগ করার পাশাপাশি দর্শন মিলবে মাছরাঙা দ্বীপের। নদীর ওপারেই দেখতে পাবেন বাংলাদেশ বর্ডার।
ম্যাসাঞ্জোর : উইকেন্ড ভ্রমণের জন্য ম্যাসাঞ্জর আদর্শ। আর তা যদি হয় বর্ষাকালে তাহলে তো সোনায় সোহাগা। ঘন সবুজের মাঝে বসে অবিরাম বারিধারা উপভোগের সুযোগ ছাড়া চলবে না কিন্তু!
তবে অনেকে অবশ্য বর্ষায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন না। জেন ওয়াইয়ের কাছে কিন্তু বর্ষায় ঘুরতে বেরনো একটা নেশা। যা একঘেয়েমি কাটায়। মন ভালো করে। আপনিও ট্রাই করে দেখতে পারেন। প্রিয়জনের সঙ্গে এই বর্ষা কাটুক আপনার পছন্দের উইক এন্ড ট্রিপে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন