সমকালীন প্রতিবেদন : গরমে নাভিশ্বাস ওঠার মাঝেই রবিবার দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী কিছু জেলায় হালকা বৃষ্টিপাত সাময়িক স্বস্তি নিয়ে এলেও পরিস্থিতি খুব একটা বদলাচ্ছে না। আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় আবার বাড়তে চলেছে গরমের দাপট। উপকূল ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে জলীয় বাষ্পের আধিক্যজনিত আর্দ্রতা চরম অস্বস্তি তৈরি করবে, যখন পশ্চিমের জেলাগুলিতে থাকবে তুলনামূলক শুষ্ক আবহাওয়া।
রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে সামান্য (০.২ ডিগ্রি) কম হলেও সোমবার ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস — স্বাভাবিকের থেকে ১.৯ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে সর্বোচ্চ আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ, যা গরমে অতিরিক্ত অস্বস্তি বাড়িয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১১ জুন বিকেলের পর থেকেই আকাশ মেঘলা হতে শুরু করবে দক্ষিণবঙ্গে। ১২ জুন, বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা সহ একাধিক জেলায় শুরু হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। এই বৃষ্টির ধারা বজায় থাকতে পারে ১৫ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত, তখনই দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে পারে বহু প্রতীক্ষিত মৌসুমী বায়ু।
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং সহ পার্বত্য জেলাগুলিতে বিচ্ছিন্নভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে আপাতত উত্তরবঙ্গের কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে কৃষিকাজ ও পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দারা কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ দক্ষিণবঙ্গবাসীর জন্য সামনের সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে বৃষ্টিই হতে পারে একমাত্র স্বস্তির বার্তা। তবে তার আগে কয়েকদিন বয়ে যেতে হবে চরম আর্দ্রতা ও অস্বস্তিকর গরমের মধ্য দিয়ে। আবহাওয়ার খবরে নজর রাখা এবং সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি, বিশেষত উপকূলবর্তী ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলিতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন