সমকালীন প্রতিবেদন : আইপিএল ফাইনালের পর অনেকেই হয়ত শ্রেয়স আইয়ারকে মনে করবেন, একটা পরাজিত ফাইনালিস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে। কিন্তু এবারের আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে ব্যাটে ভালো পারফরমেন্সের পর শ্রেয়স ক্যাপ্টেন হিসেবেও যথেষ্ট সফল। তাঁর নেতৃত্বদানের ক্ষমতা সকলেরই নজর কেড়েছে। বিশেষ করে কোয়ালিফায়ার ২-তে যেভাবে শ্রেয়স আইয়ার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে একার হাতেই পঞ্জাব কিংসকে জিতিয়েছিলেন, তা সবারই মনের মধ্যে এখনও ঢুকে রয়েছে।
২৬.৭৫ কোটি টাকায় আইপিএলে শ্রেয়সকে যখন পঞ্জাব কিংস দলে নিয়েছিল, তখনও অনেকের মনেই ধারণা ছিল না যে, তিনি আদৌ এত ভালো ক্যাপ্টেন কিনা। কিন্তু তিনটি ভিন্ন দলকে আইপিএল ফাইনালে তুলে এখন শ্রেয়সও আচমকাই ভারতীয় দলের পরবর্তী অধিনায়কের যেন দাবিদার হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে ভারতীয় দলের ওডিআই অধিনায়ক রোহিত শর্মা, যাঁর বয়স ৩৮। এদিকে শুভমন গিল টেস্ট অধিনায়ক। তাঁর বয়স আবার অনেকটাই কম, ২৬। সূর্যকুমার যাদব টি২০ অধিনায়ক, তাঁর বয়স ৩৪। কিন্তু শ্রেয়সের বর্তমান বয়স ৩০। আর তিনিও বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন। ফলে অভিজ্ঞতার দিক থেকে তিনি খুব পিছিয়ে নেই।
তাই ভারতের পরবর্তী সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসেবে এখন থেকেই নাম ভাসা শুরু হয়ে গেছে শ্রেয়সের। কারণ, রোহিত কতদিন ওডিআই খেলবেন, বা গিল আদৌ অধিনায়কের চাপ নিতে পারবেন কিনা সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। আইপিএলে পঞ্জাবের হয়ে ১৭ ম্যাচে করেছেন ৬০৪ রান। শুধু আইপিএল নয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বা ঘরোয়া ক্রিকেট, সবেতেই ধারাবাহিক শ্রেয়স।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, সব দিক বিবেচনা করে ভবিষ্যতের অধিনায়কের তালিকায় আসতে পারে শ্রেয়সের নাম। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রভাবশালী ব্যক্তির মতে, “বর্তমানে শ্রেয়স শুধু ওয়ানডে খেলছে। কিন্তু আইপিএলের পর আমরা ওকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বা টেস্টের তালিকা থেকে বাইরে রাখতে পারব না। তার সঙ্গে সাদা বলের ক্রিকেটে ওর নাম অধিনায়ক হিসেবেও বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে।”
টেস্ট দলে নতুন অধিনায়ক বেছে নেওয়া হয়েছে শুভমান গিলকে। ইংল্যান্ড সিরিজ তাঁর জন্য পরীক্ষা হতে চলেছে। সেখানে ব্যর্থ হলে হয়তো আরও সুযোগ পাবেন গিল। কিন্তু যদি বোর্ড বা গম্ভীরের মোহভঙ্গ হয়? শ্রেয়স আপাতত লাল বলের ক্রিকেট থেকে অনেকটাই দূরে। ফলে টেস্টে তাঁকে কতদূর দেখা যাবে, সেই সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন