সমকালীন প্রতিবেদন : ১০ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার। আবারও তীরে এসে তরী ডুবল শ্রেয়স আইয়ারের দলের। ফাইনালে পরাস্ত হয়ে রানার আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাঁকে। দল ফাইনালে উঠলেও ট্রফি জেতা হচ্ছে না শ্রেয়স আইয়ারের। পঞ্জাব কিংসকে ফাইনালে তুলেও আইপিএল ট্রফি জেতা হয়নি তাঁর। এবার মুম্বই লিগের ফাইনালে ফের হারতে হল তাঁর দলকে।
শ্রেয়সের সোবো মুম্বই ফ্যালকন্স হেরে গিয়েছে মুম্বই সাউথ সেন্ট্রাল মারাঠা রয়্যালসের কাছে। আইপিএল ফাইনালের মতো মুম্বই লিগের ফাইনালেও ব্যর্থ শ্রেয়স। গত ৩ জুন আইপিএল ফাইনালে আরসিবির মুখোমুখি হয়েছিল শ্রেয়সের পাঞ্জাব কিংস। যেখানে কোহলির দলের কাছে হারে প্রীতির পঞ্জাব।
তার ১০ দিন কাটতে না কাটতেই এবার মুম্বই টি-টোয়েন্টি লিগেও একই ফল। ঘুরল না তারকার ভাগ্যের চাকা। তাঁর দল মুম্বই ফ্যালকন্সকে ৫ উইকেটে হারায় মুম্বই সাউথ সেন্ট্রাল মারাঠা রয়্যালস। প্রথমে ব্যাট করে ১৫৭ রান তোলে ফ্যালকন্স। হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান ময়ূরেশ। হর্ষ আগভ করেন ৪৫ রান।
তবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন শ্রেয়স। কেকেআরের প্রাক্তন অধিয়ানক ১৭ বলে ১২ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। হতাশ করেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের আরেক তারকা অঙ্গকৃশ রঘুবংশীও। ১২ বলে ৭ রানে আউট হন তিনি।
সেই রান তাড়া করতে নেমে চিন্ময় রাজেশ সুতার এবং আওয়িস খান নওসাদ যথাক্রমে ৫৩ এবং ৩৮ রান করেন। তাঁদের রানে ভর করেই জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় মারাঠা রয়্যালস। ৪ বল বাকি থাকতেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় দল। তবে দলের হারের জন্য কোনও একজনের উপর দায় চাপাতে রাজি নন শ্রেয়স।
ম্যাচ শেষে তিনি সাফ জানান, "কোনও একজন বা একটা বিষয়কে এই ফলাফলের জন্য দায়ী করতে চাই না। টুর্নামেন্টে ছেলেরা ভালোই পারফর্ম করেছে। ফাইনালে পৌঁছনোর পর একটা ম্যাচে হেরেছি। একটা ম্যাচে হারের জন্য শুধু একজনকে দোষ দেওয়া যায় না। সেটা পিঠে ছুরি মারা হবে। সেটা আমার পছন্দ নয়।"
হেরে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ শ্রেয়স। বলেছেন, “খুব কঠিন একটা দিন গেল। যে কোনও ম্যাচই হারলে মনের মধ্যে সারাক্ষণ সেটা ঘুরতে থাকে। তার উপর ফাইনালে হারলে আরও বেশি হতাশ হওয়া স্বাভাবিক। আমার মতো বাকিরাও হতাশ। তবে পরের বছর ওরা বাড়তি অনুপ্রেরণা এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে ফিরে আসবে এটুকু বলতে পারি।” অর্থাৎ, টানা হার হলেও আত্মবিশ্বাস হারাতে চাইছেন না শ্রেয়স।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন