সমকালীন প্রতিবেদন : অভাব অর্থহীন হয়ে পড়ে যখন পাশে দাঁড়ায় সহমর্মিতা, আর সেই সহমর্মিতার উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে উঠেছে বনগাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা "বনগাঁ অঙ্গন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি"। অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া অথচ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে এ বছর ১৮ বছরে পা দিল সংস্থার এই মানবিক প্রয়াস।
রবিবার বিকেলে বনগাঁ হাইস্কুলের ঐতিহ্যবাহী লালবাড়ির গঙ্গাচরণ ভট্টাচার্য মঞ্চে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিশিষ্টজনেরা, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা। অনুষ্ঠানে সংস্থার পক্ষ থেকে এবছর মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ ১৭ জন মেধাবী অথচ আর্থিকভাবে দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের হাতে বই, খাতা ও অন্যান্য পড়াশোনার প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
সংস্থার সভাপতি হরিনারায়ণ সরকার জানান– "শুধুমাত্র অর্থের কারণে যাতে কোনও মেধাবী পড়ুয়ার শিক্ষাজীবন থেমে না যায়, সে লক্ষ্যেই আমরা বছরের পর বছর ধরে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। আমাদের এই অঙ্গীকারই আমাদের পথ চলার প্রেরণা।"
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত ১৮ বছরে সংস্থার সহযোগিতায় শতাধিক ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষা লাভ করে আজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত। অনেকেই এখন এই সংস্থার কর্মকাণ্ডে নিজেদের যুক্ত করেছেন, আর এভাবেই তৈরি হয়েছে এক মানবিক চক্র- সহানুভূতির, দায়িত্ববোধের এবং শিক্ষার আলো ছড়ানোর।
অনুষ্ঠানে অঙ্গন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেয়ে আপ্লুত ছাত্রছাত্রীরা জানায়, এই সাহায্য শুধু পড়াশোনার সামগ্রী নয়, তাদের জীবনে এক নতুন সাহস ও প্রেরণার সঞ্চার করেছে। আগামীদিনে তারা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে এভাবে তারাও সামাজিক কাজে নিজেদেরকে যুক্ত করতে চায়।
এই ধরনের উদ্যোগই প্রমাণ করে, সমাজে এখনও কিছু মানুষ ও প্রতিষ্ঠান রয়েছেন, যারা নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে জানেন। বনগাঁ অঙ্গন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির এই প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এক উদাহরণ হয়ে থাকবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন