সমকালীন প্রতিবেদন : দীর্ঘ ১৭ বছর পর আইপিএলের অষ্টাদশ মরশুমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। শুরু থেকে এই এক ফ্র্যাঞ্চাইজিতেই খেলে যাচ্ছেন ভারতীয় কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলি, কিন্তু চূড়ান্ত সাফল্য আসছিল না। দলে ডিভিলিয়ার্স, গেইল, রাহুল দ্রাবিড়, অনিল কুম্বলের মতো তারিখ খেলেছেন, এর আগেও তিনবার আইপিএল-এর ফাইনালে পৌঁছেছিল আরসিবি। কিন্তু ট্রফি আগে আসেনি। তবে এবার সেই শাপমোচন হয়েছে। ট্রফি ঘরে তুলেছে বেঙ্গালুরুর ছেলেরা।
আর এই জয়ের নেপথ্য নায়ক হিসেবে অনেকেই জশ হ্যাজেলউডের লাকি চার্মের কথা বলছেন। এককথায় তাঁকে বলা যেতে পারে অজি পরশপাথর। আজ পর্যন্ত যতবার ফাইনাল খেলেছেন, কোনওদিন হারেনি তাঁর দল। সেই রেকর্ড অক্ষুণ্ণ থাকল আইপিএল ফাইনালেও। ২০১০ সালে প্রথমবার ফাইনাল খেলতে নামেন অজি পেসার। খেতাবি যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হন, সঙ্গে জেতেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ।
এরপর ২০১২ চ্যাম্পিয়ন্স টি-২০ ফাইনালে খেলেন সিডনি সিক্সার্সের জার্সিতে। লায়ন্সের বিরুদ্ধে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেন। এরপর ২০১৪ সালের শেফিল্ড শিল্ড ফাইনালে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে খেলতে নামেন। ৬ উইকেট তুলে নেন ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ম্যাচ ড্র হলেও বেশি পয়েন্ট থাকার সুবাদে চ্যাম্পিয়ন হ্যাজেলউডের দল।
তারপর আবার ২০১৫ বিশ্বকাপ ফাইনালে উইকেট পাননি। তা সত্ত্বেও নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে প্রথমবার সিনিয়র বিশ্বকাপের স্বাদ পান জশ হ্যাজেলউড। ২০১৯-২০২০ সালের বিগ ব্যাশ ফাইনালেও সিডনি সিক্সার্সের জার্সিতে খেলতে নেমেছিলেন। মেলবোর্ন স্টার্সের বিরুদ্ধে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ফের বিগ ব্যাশ জেতেন।
২০২১ আইপিএলে খেলেছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে। ফাইনালে কেকেআরের বিরুদ্ধে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন করেন ধোনির চেন্নাইকে। এরপর ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন উইকেট তুলে নেন। প্রথমবার টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পেয়েছিলেন। পরে ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে নামেন ভারতের বিরুদ্ধে। জোড়া উইকেট তুলে নেন।
রবীন্দ্র জাদেজা এবং সূর্যকুমার যাদবের উইকেট তুলে নিয়ে ভারতের রান তোলার গতি আটকে দেন। আবার ২০২৫ আইপিএল ফাইনালে খেলেন আরসিবি জার্সিতে। একটি উইকেট পেলেও শেষ পর্যন্ত ট্রফি জিতেই ফাইনালের মঞ্চকে বিদায় জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি লাকি চাৰ্ম হলেও বেঙ্গালুরুর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট, ক্রুনাল, রজত, ডেভিডদের অবদানও কিন্তু অনস্বীকার্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন