Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঝড় উঠলো ক্যাপ্টেন শুভমনের ব্যাটে

 

Captain-Shubhaman

সমকালীন প্রতিবেদন : রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির মতো দুই কিংবদন্তি সদ্য টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। তাঁদের পরবর্তী সময়ে প্রথম সিরিজ। আগ্রহ ছিল, বিরাটের চার নম্বর পজিশনে কে ব্যাট করবেন? প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, আট বছর পর টেস্টে কামব্যাক করা অভিজ্ঞ করুণ নায়ারকে চারে নামানো হতে পারে। তবে এমআরএফ-এর লোগো দেওয়া ব্যাটই দেখা গেল চার নম্বরে। ক্যাপ্টেন শুভমন গিল নামলেন। ওপেন করেছেন দীর্ঘ দিন। 

যশস্বী টিমে আসার পর তিনে ব্যাটিং শুরু করেন শুভমন। টেস্ট ক্রিকেটের আধুনিক যুগ যেন শুরু হয়ে গেল। রোহিত শর্মা পরবর্তী ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই তিন অঙ্কের রান শুভমন গিলের। আর নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সুনীল গাভাসকর, বিরাট কোহলিদের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে এক আসনে বসে পড়লেন পঞ্জাব ব্যাটার।

আসলে শুভমনের শতরানে মঞ্চটা তৈরি করে দিয়েছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। প্রথম সেশনে দল দুই উইকেট খোয়ালেও দ্বিতীয় সেশনে বাঁ-হাতি ওপেনারকে পুরোটা সঙ্গ দিয়েছিলেন গিল। পূর্ণ করে ফেলেছিলেন অর্ধশতরান। কিন্তু তৃতীয় সেশনের শুরুতেই বেন স্টোকস ১০১ রানে ফিরিয়ে দেন যশস্বীকে। তবু লক্ষ্যে অবিচল অধিনায়ক। তৃতীয় সেশনে ঋষভ পন্তকে সঙ্গী করে পঞ্জাব ব্যাটার পৌঁছে যান তিন অঙ্কের ঘরে। 

৭৪.২ ওভারে জোশ টাংকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অধিনায়ক হিসেবে গিল ছুঁয়ে ফেলেন বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাসকর, দিলীপ বেঙ্গসরকর এবং বিরাট কোহলিকে। অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে আত্মপ্রকাশে শতরান করে এদের সকলের সঙ্গে এলিট ক্লাবে তেইশের তরুণ তুর্কি । টেস্ট ক্রিকেটে ষষ্ঠ শতরান পূর্ণ করার পর টেস্টে ২ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন গিল। দেশের বাইরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, এশিয়ার বাইরে প্রথম। ১৪০ বলে দুর্দান্ত একটা ড্রাইভে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শুভমন। সব মিলিয়ে কেরিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি।

ইংল্যান্ডের মাটিতে শুভমন শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০২৩ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। সার্বিকভাবে ইংল্যান্ডে এর আগে তিনটে টেস্ট খেলেছিলেন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে জাজমেন্ট দিতে গিয়ে বোল্ড হয়েছিলেন। প্রবল সমালোচনাও হয়েছিল। ক্যাপ্টেন হিসেবে পরীক্ষা। তেমনই ব্যাটিংয়ে কিং কোহলির জায়গায় নামা। সব মিলিয়ে পাহাড়প্রমাণ চাপ। সিরিজের শুরুতেই সেঞ্চুরিটা যেন সব চাপ দূরে সরিয়ে দিল।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন