Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড়সড় পরিবর্তনের পথে হাঁটল আইসিসি

 

Big-changes-in-cricket

সমকালীন প্রতিবেদন : আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফের একাধিক নিয়মে বড়সড় পরিবর্তনের পথে হাঁটল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল অর্থাৎ আইসিসি। আগেই আংশিকভাবে কার্যকর হলেও, ২০২৫-২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং সীমিত ওভারের ম্যাচে আসন্ন জুলাই থেকে এই নতুন নিয়মগুলি সর্বাত্মকভাবে চালু হবে বলে জানানো হয়েছে। নিয়ম বদলের ফলে খেলার গতি ও ন্যায্যতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়তে চলেছে বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।

টেস্টেও আসছে ‘স্টপ ক্লক’, গড়িমসিতে কাটবে ৫ রান 

স্লো ওভার রেট টেস্ট ক্রিকেটের দীর্ঘদিনের সমস্যা। এবার সেই সমস্যা মোকাবিলায় স্টপ ক্লক চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ফিল্ডিং দলকে এক ওভার শেষের এক মিনিটের মধ্যেই পরবর্তী ওভার শুরু করতে হবে। না হলে দুবার মৌখিক সতর্কতার পর তৃতীয়বার সেই দলকে ৫ রান জরিমানা হিসেবে ব্যাটিং দলের ঝুলিতে যোগ হবে। তবে ৮০ ওভারের পর এই ঘড়ি আবার রিসেট করে দেওয়া হবে।

ইচ্ছাকৃত শর্ট রানে কড়া শাস্তি 

যদি কোনও ব্যাটার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যাট না ছুঁইয়ে রান নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং আম্পায়ার তা ধরে ফেলেন, তবে পুরো ব্যাটিং দলকে খেসারত দিতে হবে ৫ রানের কাটছাঁটের মাধ্যমে। শর্ট রান নিয়ে জালিয়াতি রুখতেই এই সিদ্ধান্ত।

লালার ব্যবহারে বল বদল নয়, সিদ্ধান্ত নেবেন আম্পায়ার 

লালা প্রয়োগ নিষিদ্ধ থাকলেও, যদি বলে লালা প্রয়োগের প্রমাণ মেলে, তবুও সঙ্গে সঙ্গে বল পরিবর্তনে বাধ্যবাধকতা থাকছে না। আম্পায়ার তখনই বল বদল করবেন, যখন বলের গঠন বা অবস্থায় গুরুতর পরিবর্তন দেখা যাবে—যেমন অতিরিক্ত ভেজাভাব বা অস্বাভাবিক চকচকেভাব।

ডিআরএস পদ্ধতিতে নতুন সংযোজন

ডিআরএস ব্যবহারে আরও বেশি যুক্তি ও প্রযুক্তির সমন্বয় আনছে আইসিসি। কোনও ব্যাটার যদি কট বিহাইন্ডে আউটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নেন, আর দেখা যায় বল ব্যাটে না লাগলেও প্যাডে লেগেছে—তবে তখন টিভি আম্পায়ার দেখবেন, সেই বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল কিনা। সেই অনুযায়ী ব্যাটার আউট ঘোষিত হতে পারেন।

দুই রকম আউটের ক্ষেত্রে আগে কোনটি ঘটেছে, সেটাই প্রাধান্য পাবে 

একই বলে যদি এলবিডব্লিউ-এর আবেদন হয় এবং রান নিতে গিয়ে ব্যাটার রান আউট হন—তাহলে আগে এলবিডব্লিউ-এর রিভিউ গ্রহণ করা হয়েছে কিনা, সেটাই নির্ধারণ করবে ফলাফল। যদি প্রথম ঘটনায় ব্যাটার আউট বলে প্রমাণিত হন, তবে পরবর্তী রান আউট বা অন্য রিভিউ বিবেচনায় নেওয়া হবে না।

ভুয়ো ক্যাচ দাবি করলে নো বল 

সবচেয়ে চমকপ্রদ বদল এসেছে ক্যাচের ক্ষেত্রে। যদি কোনও ফিল্ডার স্পষ্টভাবে ক্যাচ না ধরেও সেটিকে আউট বলে দাবি করেন এবং পরে প্রমাণিত হয় সেটি ধোঁকাবাজি ছিল, তাহলে সেই ডেলিভারিকে ‘নো বল’ ঘোষণা করবেন আম্পায়ার। একইসঙ্গে ব্যাটাররা সেই বলে যত রান নেবেন, তাও বৈধভাবে যোগ হবে স্কোরবোর্ডে।

আইসিসি-র এই নিয়ম সংশোধন নিয়ে ইতিমধ্যেই খেলোয়াড়, কোচ এবং বিশ্লেষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, বাস্তব প্রয়োগে কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটাই এখন দেখার।






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন