সমকালীন প্রতিবেদন : টানা ঘন্টার পর ঘন্টা অফিসের কাজ করলেও আসবে না ক্লান্তি। কন্সেন্ট্রেশন ব্রেকও হবে না। থাকবে মন ভালো। দিন শেষে কলিগদের থেকেও বেশি প্রশংসা কুড়াবেন আপনি কর্তৃপক্ষের কাছে। কিভাবে? মাত্র পাঁচটা খাবার বদলে দেবে গোটা ছবিটা। কি খাবেন? চপ কাটলেট? ভুলেও না। আজকের প্রতিবেদনে থাকবে এমন কিছু খাবার-দাবারের পরামর্শ যা আপনার মন রাখবে ফুরফুরে। মিটবে স্বাদ। আবার ক্লান্তি ছুঁতেও পারবেনা আপনাকে, বরং কাজ কমপ্লিট হবে দুরন্ত গতিতে।
প্রথমেই যে জিনিসটা মাথায় রাখতে হবে, পেট খালি থাকলে কাজে কিন্তু মন না বসাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে দেখবেন পেটে খিদে নিয়ে অফিসের কাজ, চাপ কোনওটাই কমবে না। তাই মন ভাল রাখতে সহজ পন্থা অবলম্বন করুন। খান মুখোরোচক। এমন কিছু যাতে শরীরের ক্ষতি হবেনা। আবার সেই ভালো খাবারের ভালো প্রভাব পড়বে আপনার কাজে। আজ শেয়ার করব আপনার শরীরের জন্য উপকারী এমন কোন কোন স্ন্যাক্স রাখবেন হাতের কাছে?
রোস্টেড মাখানা : পুষ্টিগুণের জন্য মাখানা খাওয়ার চল বাড়ছে দিনকে দিন। এটা আসলে পদ্মের বীজ। যাতে প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে। মাখানা হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে। এমনকি রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রেখে মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে এই খাবার। তবে মাখানা ঘি-তে সামান্য কিছু মশলা দিয়ে নাড়াচাড়া করে খাবেন। তা হলেই যেমন হবে সুস্বাদু, তেমনই হবে মুচমুচে।
ডার্ক চকোলেট : কাজের ফাঁকে এক বা দু’টুকরো ডার্ক চকোলেটও কিন্তু দ্রুত শক্তি জোগাতে পারে। চনমনে করতে পারে মন। সবচেয়ে বড় কথা, মনখারাপ বা ক্লান্তি কাটাতেও ডার্ক চকোলেটের জুড়ি মেলা ভার। হ্যাঁ, আপনার জেনে রাখা দরকার, প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে ডার্ক চকোলেট। এছাড়া এন্ডরফিন হরমোন ক্ষরণেও ডার্ক চকোলেটের বড় ভূমিকা রয়েছে। মানসিক চাপ কমাতে এটা দুর্দান্তভাবে সাহায্য করে। তাই ঘন্টার পর ঘন্টা যখন বসে অফিসের কাজে ডুবে রয়েছেন আপনি, তখন টুক করে মুখে দিয়ে দিতে পারেন দুটুকরো ডার্ক চকোলেট।
কাঠবাদাম : মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য জরুরি কাঠবাদাম। শুকনো কাঠবাদাম ঘিয়ে নাড়িয়েচাড়িয়ে নিন। ছড়িয়ে দিন সামান্য নুন। খিদের সময় বা কাজের ফাঁকে ৮-১০টি বাদাম খেলে শরীরেও শক্তি পাবেন, মনও ভালো থাকবে। তাহলে আর দেরি কেন? চট করে বানিয়ে ফেলুন ঘিয়ে ভাজা নোনতা স্বাদের মুচমুচে কাঠবাদাম।
ফল : পছন্দের ফলও হাতের কাছে রাখতে পারেন। ফলে থাকা ফাইবার, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট দিনভর কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দেবে। তাছাড়া, ফলে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি লোভ কমাতেও সাহায্য করবে। আবার ওই প্রাকৃতিক শর্করার সুফল পাবে মস্তিষ্কও। তবে হ্যাঁ, একটু বিরতি নিয়ে খাওয়াদাওয়া করলে মাথা, চোখ দুইই বিশ্রাম পাবে। অন্তত পাঁচ মিনিট বিরতি নিতেই পারেন ফলটুকু খাওয়ার জন্য। কি? তাই তো?
বাদাম-বীজের মিক্সচার : বিভিন্ন ধরনের বীজ হালকা রোস্ট করে বা শুকনো কড়াইয়ে নেড়েচেড়ে নিয়ে একটি কৌটোয় রেখে দিতে পারেন। দারুন কাজে আসবে। এই যেমন কুমড়ো, সূর্যমুখী বীজ, কাজুবাদাম, কিশমিশ সব মিশিয়ে রাখুন। কাজের ফাঁকে সেটাই অল্প করে খেয়ে নিন। এটা যেমন স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যেমন শরীরের জন্য ভাল, তেমনই এতে থাকা জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যও দারুন উপকারী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন