Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫

পশ্চিম এশিয়ায় ইরান-ইজরায়েল সংঘাত : তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে

 

Iran-Israel-conflict

সমকালীন প্রতিবেদন : পশ্চিম এশিয়া ফের রক্তাক্ত। ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের আবহে গোটা বিশ্বের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। ১৩ জুন ইজরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক পরিকাঠামোয় হামলা চালানোর পর পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নিয়েছে। পাল্টা জবাবে ইরান একাধিক ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে তেল আভিভ ও হাইফা বন্দরের মতো শহরে। যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।

উভয় পক্ষই একে-অপরকে ধ্বংসের হুমকি দিয়েছে। ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইরানে হামলার ইঙ্গিত দিয়েছেন, আবার ইরানও জানিয়ে দিয়েছে, ইজরায়েলকে সাহায্য করা দেশগুলিও ইরানের হামলার নিশানা হতে পারে। ফলে আমেরিকা, ন্যাটো, এমনকি পারস্য উপসাগর ও লোহিত সাগরে মোতায়েন বিদেশি নৌবাহিনীও ঝুঁকির মুখে।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই সংঘাত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করতে পারে। নিরাপত্তা বিশ্লেষক অ্যান্থনি গ্লিসের মতে, ইরানের সামরিক শক্তি ও তার মিত্র হেজবোল্লা, হামাস এবং হাউথিদের সক্রিয়তা যুদ্ধকে আরও বিস্তৃত করতে পারে। অপরদিকে, আমেরিকা যদি সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে নামে, তাহলে রাশিয়া, চিন এবং উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলোও সক্রিয় হতে পারে– যা বিশ্বজুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে দিতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা ইতিমধ্যে ইরাক, বাহরিন এবং কুয়েত থেকে দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। খোদ ট্রাম্প প্রশাসন হুঁশিয়ারি দিয়েছে, আমেরিকার উপর আঘাত এলে ‘সম্পূর্ণ সেনা শক্তি’ ব্যবহার করা হবে। এরই মধ্যে ইজরায়েলে থাকা মার্কিন দূতাবাসে ক্ষতি হয়েছে ইরানের হামলায়।

উভয় দেশই আন্তর্জাতিকভাবে চাপে। ইজরায়েল যেমন একা হয়ে পড়ার আশঙ্কায়, তেমনি ইরানকেও মুসলিম বিশ্বের সামনে শক্ত প্রতিচ্ছবি রাখতে হচ্ছে। যুদ্ধ যদি জারি থাকে এবং তৃতীয় পক্ষ জড়ায়, তাহলে তা বিশ্বের সামগ্রিক শান্তির পক্ষে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে বলেই মত আন্তর্জাতিক মহলের।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন