Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ৫ মে, ২০২৫

গ্রীষ্মকালে বয়স্কদের খাবার কেমন ধরনের হওয়া উচিৎ?

 ‌

Summer-food-for-the-elderly

সমকালীন প্রতিবেদন :‌ বাড়ির বয়স্করা গ্রীষ্মকালে কি কি খাবেন না? এই সময়টাতেই কিন্তু 'হিট স্ট্রোক' এর রিস্ক বেশি। এই সময় আগে খাওয়া দাওয়ায় নজর দিতে হবে। ডিহাইড্রেশন থেকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও এই গ্রীষ্মকালেই বাড়ে। তাই জলের দিকেও বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা উচিত। কেমন খাবার খাওয়া যাবে? কোন ফল খাওয়া ঠিক হবে? কি বলছেন পুষ্টিবিদরা? বয়স্কদের 'সামার ডায়েট' নিয়েই বিশদে আলোচনা আজকের প্রতিবেদনে। 

এই সময় পেটের গোলমাল, অম্বল, বদহজম এগুলোর সমস্যা বেশি হয়। আর মনে রাখবেন পেটের সমস্যা ভোগাতে থাকলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, বেশি তেলমশলা দেওয়া খাবার খাওয়া, জল কম খাওয়া হলে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি থাকে বয়স্কদের। সেক্ষেত্রে বয়স্করা কি কি অ্যাভোয়েড করবেন? 

প্রথমত, মনে রাখতে হবে রোদ থেকে ফিরেই ফ্রিজের ঠান্ডা জল কোনোমতেই খাওয়া যাবে না। বরং আগে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কিছুক্ষণ বসতে হবে। তার পর জল অল্প অল্প করে খেতে হবে। সাদা জল ছাড়াও খেতে পারেন কাঁচা আমের শরবত, দইয়ের ঘোল, তরমুজের শরবত বা বেলের পানা, যা শরীর ঠান্ডা রাখবে।

ব্রেকফাস্টেও হালকা খাবার দিয়ে দিনের শুরু করুন। যাঁদের বাইরে বেরোতে হয়, তাঁরা সকালে তেলে ভাজা লুচি, পরোটা ভুলেও খাবেন না। প্রোটিনও কম খান। বদলে দই ওট্‌স, দই ভাত, দুধ কর্নফ্লেক্স, ওট্‌সের চিল্লা বা ঘরে তৈরি দোসা খেতে পারেন। ডালিয়ার খিচুরি বা কিনোয়াও খাওয়া যেতে পারে।

এরপর আসব লাঞ্চে। দুপুরের খাওয়া কিন্তু তেলমশলা ছাড়া হওয়া দরকার। অনেকের মধ্যেই অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায় এই বয়সে। আর ঠিক সেই কারণেই ঘন ঘন বদহজম, পেটখারাপ, কোষ্ঠকাঠিন্য, গাঁটে গাঁটে ব্যথা ভোগায়। তাই গরমের দিন দুপুরে অল্প করে ভাত, ডালের জল, সব্জি, মাছ বা চিকেন খেলে সব্জি দিয়ে স্ট্যু খেলে ভাল। সঙ্গে স্যালাড মাস্ট। খাবার পাতে কাঁচা নুন ভুলেও নয়। আর রান্নায় চিনির মাত্রাও কমাতে হবে। হ্যাঁ, খাওয়ার পরে শেষ পাতে টক দই খেতে পারেন।

লাঞ্চের পর বিকেলের দিকে খিদে পেলে ওই সময়ে চপ, তেলেভেজা ছোঁবেন না। বরং হালকা স্ন্যাক্স খান। চিঁড়েতে আয়রন আছে। মুড়ি মেখেও খেতে পারেন। ড্রাই ফ্রুট্‌স খাওয়া খুব ভাল। একটা খেজুর, দু’টো আখরোট, কাঠবাদাম, চিনেবাদাম মিশিয়ে খান। উপকার পাবেন। ফল খেলে বিকেল ৫ টার মধ্যে। তরমুজ, শসার মতো ফল খেতে পারেন, যেগুলোতে জলের ভাগ বেশি। চা বা কফি কম কিংবা না খাওয়াই ভাল। খেলেও দুধ চিনি ছাড়া খেলে অম্বল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। 

রাতের খাওয়া কিন্তু একদম হালকা হতে হবে। আর তা সেরে ফেলতে হবে ৯টার মধ্যে। ভাত খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এক কাপের বেশি নয়, না হলে দু’টো রুটি, এক বাটি সব্জি। প্রোটিন রাতে যতটা সম্ভব কম খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন