Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ৫ মে, ২০২৫

এবারে খুনের মামলায় গ্রেপ্তার হলেন চিন্ময় প্রভু

 ‌

Chinmoy-Probhu

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌জামিন পেয়েও মুক্তি মিললো না সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের। খুনের মামলায় ফের তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলো। ফলে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার পাশাপাশি এবার আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যার মামলাতেও ধৃত বাংলাদেশের সম্মিলিত হিন্দু জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় প্রভু। এরপর এই সংক্রান্ত শুনানি হবে ভারচুয়ালি। মঙ্গলবারই প্রথম ভারচুয়াল শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে চিন্ময় দাস বা তাঁর আইনজীবীদের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও তাঁর অনুগামীদের দাবি, এটি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক হয়রানি ছাড়া কিছুই নয়।

চিন্ময় প্রভুকে নতুন করে গ্রেপ্তারের ঘটনা ইউনুস সরকারের হিন্দু নির্যাতন আর বিচারের নামে প্রহসন বলে মনে করছে সংবেদনশীল মহল। দেশদ্রোহিতার মামলার পর সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী ওরফে চিন্ময় প্রভুকে এবার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হল। তাঁর জামিন স্থগিত হওয়া সংক্রান্ত মামলার শুনানি হওয়ার কথা ঢাকার সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু তার মাঝে সোমবার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে আইনজীবী হত্যামামলায় চিন্ময় প্রভুকে গ্রেপ্তারি মঞ্জুর করেছে। 

উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় প্রথমে চিন্ময় প্রভুর জামিন মঞ্জুর করেছিল ঢাকা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে জামিন স্থগিতের আবেদন নিয়ে আদালতে অন্য বিচারপতির এজলাসে যান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। তা মঞ্জুর হওয়ায় জামিন স্থগিত হয়ে যায়। আবার চট্টগ্রামের জেলে ফিরত পাঠানো হয় চিন্ময় প্রভুকে। রবিবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও বর্ষীয়ান আইনজীবীর মৃত্যুতে তা বন্ধ ছিল। এরপর সোমবার নতুন করে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হল তাঁকে। আর এই ঘটনা যে ইউনুস প্রশাসনের অঙ্গুলিহেলনেই ঘটল এবং চিন্ময় প্রভুকে বন্দি রাখারই ষড়যন্ত্র বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

এর আগে হাইকোর্টে জামিন পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চেম্বার আদালত সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। পরে ফের সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে। জানিয়ে দেওয়া হয়, ৪ মে চিন্ময় দাসের জামিনের মামলার শুনানি হবে। তবে ৪ মে সেই মামলার শুনানি হয়নি। এদিকে রবিবার ঢাকা হেফাজে ইসলামের বিশাল জনসমাবেশ থেকে চিন্ময় প্রভুকে জামিন না দেওয়ার দাবি জানিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আজও জামাত এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেকে চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

সোমবার হত্যা মামলায় চিন্ময় প্রভুর ‘গ্রেপ্তারি’ নিয়ে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতির বিষয়টি নিয়ে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, আইনজীবী আলিফ খুনের মামলায় পুলিশের আবেদন অনুযায়ী সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দিয়েছেন বিচারক। তবে নিরাপত্তার জন্য তাঁকে সরাসরি আদালতে হাজির করা হবে না। জেল থেকে ভারচুয়ালি হাজির করে আদালতে শুনানি চলবে।

প্রসঙ্গত, গত ২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুও। সেই সমাবেশেই নাকি তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছিলেন। এই অভিযোগেই চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। গত ৩১ অক্টোবর চিন্ময় দাস-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সেই নেতা।

বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্যাসী ও সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া চারটি মামলার মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যা মামলা অন্যতম। অন্য তিনটি মামলা ছিল পুলিশ ও আইনজীবীদের উপর হামলা, বিচারকাজে বাধা এবং আদালত এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরির পরিবেশ। জানা যাচ্ছে, বাকি তিন মামলার শুনানি হতে পারে মঙ্গলবার, ৬ মে।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন