সমকালীন প্রতিবেদন : দিল্লির পর এবার রাজস্থান। পরপর জোড়া জয়ে আপাতত প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকল কলকাতা নাইট রাইডার্স। রাসেলের ফর্মে ফেরা থেকে মঈন, হর্ষিত, বরুণের ধুনাধার বোলিং- রবিবারের ইডেন সবই দেখল। সেই সঙ্গে দেখল কেকেআর-এর জয়। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে মাত্র ১ রানে জিতল কেকেআর। একইসঙ্গে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠল প্লে-অফের সমীকরণ।
এদিনের ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন নাইট অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। ওপেনিং নারিন ব্যর্থ হলেও এদিন ভালো খেলেন আগফগান তারকা রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তিনি ২৫ বলে করেন ৩৫ রান। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন রাহানে নিজে। ৩০ রান করেন তিনি।
এছাড়াও, এদিন মিডল অর্ডারে ভালো খেলেন তরুণ অঙ্গকৃষ রঘুবংশী। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। তবে এদিন ইডেনের প্রধান আকর্ষণ ছিল রাসেল-ঝড়। বৈশাখের বিকেলে কালবৈশাখীর পূর্বাভাস থাকলেও তা শুরু হয় বাইশ গজেই।
রাসেলের ব্যাট থেকে এদিন একের পর এক আগুন শটে বল বারবার পৌঁছয় গ্যালারিতে। রাসেল এদিন ২৫ বলে খেলেন অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংস। এছাড়াও, শেষদিকে রিঙ্কু ৬ বলে করেন ১৯ রান। সব মিলিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্কোর ৪ উইকেটে ২০৬ রানা গিয়ে থামে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটা সেভাবে হয়নি। এদিন ফের দ্বিতীয় বলে আউট হন বৈভব সূর্যবংশী। ফের দ্বিতীয় বলের কাঁটায় বিদ্ধ হলেন ১৪ বছরের এই বিষ্ময় ব্যাটার। তারপর আবার কুণাল সিং রাঠোরের উইকেটও হারায় রাজস্থান।
তবে এতে থেমে থাকেনি যশস্বীর ব্যাট। তিনি ২১ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। মাঝে ক্যাপ্টেন রিয়ান পরাগের ব্যাট থেকে আসে আরো একটি বিধ্বংসী ইনিংস। তিনি মাত্র ৪৫ বলে করেন ৯৫ রান। একটা সময় মনে হচ্ছিল যে, এই ম্যাচে শেষ হাসি হাসবে পিঙ্ক ব্রিগেড। তবে নাইট বোলারদের দাপটে সেই আশাতেও জল ঢালা হয়ে যায়।
যশস্বী, পরাগের পর হেটমায়ার ছাড়া আর কেউই সেভাবে রান পাননি। শেষমেষ রাজস্থানের ইনিংস শেষ হয় ২০৫ রানে। মাত্র ১ রানে জিতলেও এই ম্যাচ থেকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে নিল কেকেআর। প্লে অফে পৌঁছতে হলে আপাতত প্রত্যেকটি ম্যাচ জিততে হবে রাহানেদের। সেটা কি সম্ভব হবে? উত্তর দেবে সময়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন