সমকালীন প্রতিবেদন : জামাইষষ্ঠীতে কোন উপহার দিলে আপনার শাশুড়ির কাছে আপনিই হবেন সেরা জামাই? ১-২ নয়, আজকে দেব সাত ৭ টা গিফ্ট আইডিয়া। যা শুধু আপনার সুবিধা করবে তাই নয়, জামাইষষ্ঠীতে আপনার শাশুড়ির মুখেও ফোটাবে হাসি। ট্রাডিশনাল থেকে আধুনিক জীবনযাপনের জিনিসপত্র, কম থেকে বেশি দামের; সব রকম উপহারের হদিস আজকের এই প্রতিবেদনে।
একটা সময় ছিল যখন একটা চওড়া লাল পাড়ের সাদা শাড়ি কিনে শ্বশুরবাড়ি চলে গেলেই হতো। ষষ্ঠীর পাখার বাতাস, আম-লিচু, তার পর ভরপুর মধ্যাহ্নভোজ। ব্যস জামাইষষ্ঠী একেবারে জমজমাট। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। শাশুড়িরাও যে এখন নিয়মিত শাড়ি পড়েন তেমনটা নয়। সালোয়ার কামিজ, জিন্স পরতেও পছন্দ করেন কেউ কেউ। আবার তাঁরা ষষ্ঠীতে এখন জামাইকে নতুন কায়দার রেস্তোরাঁয় নিমন্ত্রণও করেন। কখনও চাইনিজ, কখনও আবার বিরিয়ানি খাওয়ান।
অতএব জামাইষষ্ঠীর পুরো ফরম্যাটটাই যেন সময়ের সাথে সাথে বদলেছে। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই শাশুড়ির জন্য জামাইয়ের উপহার নির্বাচন করাটাও দিনে দিনে একটু কঠিন হয়েছে। এই যেমন আর কয়েকদিন পরেই জামাইষষ্ঠী। ওই দিন শাশুড়ির জন্য কী উপহার নিয়ে যাবেন এবার, সেটা অনেকেই এখনো অব্দি ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। কিন্তু ডোন্ট ওরি! স্ত্রীর সাহায্য ছাড়াই এবার শাশুড়ির জন্য উপহার বাছাই করবেন আপনি। প্রথমেই মাথা খাটিয়ে এটা বুঝে নিতে হবে যে, আপনার শাশুড়িমা ঠিক কি পরতে পছন্দ করেন?
শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ/জিন্স : শাড়ি যে কোনও মহিলারই পছন্দের। তাই শাশুড়িমায়ের পছন্দসই কোনও শাড়ি জামাইষষ্ঠীতে উপহার হিসাবে দিতেই পারেন। আর যদি আপনার শাশুড়ি সালোয়ার কামিজ বা জিন্স টপে কমফোর্টেবল হয়ে থাকেন, তাহলে তেমন কিছু গিফট করতে পারেন। বরং শাশুড়িমা একটু বেশিই খুশি হবেন এমন উপহার পেয়ে জামাইয়ের থেকে।
গয়না : আজকাল অনেক রেডিমেড বাজেট ফ্রেন্ডলি হালকা সোনার গয়না অ্যাভেইলেবেল মার্কেটে। ১৪ ক্যারেট থেকে ২২ ক্যারেট এর মধ্যে পেন্ডেন্ট, ইয়ার রিং, ব্রেসলেট যেমন আপনার বাজেট সেই অনুযায়ী শাশুড়িকে গিফট করতে পারেন। আর বাজেট অত বেশি না হলে সোনার গয়না হয়তো দিতে পারবেন না। তবে আজকাল নানা ধরনের গয়না পাওয়া যায়। যেগুলো একেবারে বাজেটের মধ্যে। সেরকম গয়নাও দিতে পারেন। তার মধ্যে অক্সিডাইজড রুপো দারুন ট্রেন্ডি।
রান্নার সামগ্রী : শাশুড়ি মায়েদের জন্য রান্নার সামগ্রী উপহার হিসাব বেশ ভালো একটা চয়েস। নন-স্টিক কড়াই, হটপট হোক, অথবা এয়ার ফ্রায়ার থেকে রাইস কুকার, মিক্সার গ্রাইন্ডার, স্যান্ডউইচ মেকার; কিংবা অন্য যে কোনও সামগ্রী উপহার হিসাবে দিতেই পারেন। এই উপহার বেশ কাজেও লাগবে শাশুড়িদের।
গাছ ও বই : উপহার হিসাবে গাছ কিন্তু একটা দারুন চয়েস হতে পারে। আপনার শাশুড়ির যদি বাগানের শখ থাকে, তা হলে এই উপহারেই তাঁর মুখে হাসি ফুটবে। সুন্দর করে সাজানো ফুল গাছ, বাহারি পাতার গাছ কিংবা অন্দরসজ্জার গাছ হতেই পারে এবারে আপনার জামাইষষ্ঠীর উপহার! তাছাড়া আপনার শাশুড়ি যদি বইয়ের পোকা হন, তা হলে অবশ্যই কোনও বই উপহার দিন, ভালো লাগবে।
স্টেকেশন ভাউচার : আচ্ছা শ্বশুর-শাশুড়িকে একান্তে খানিকটা সময় কাটানোর সুযোগ করে দিলে কেমন হয়? শহরের বড় বড় হোটেলে এখন স্টেকেশনের প্যাকেজ পাওয়া যায়, এমনই একটি প্যাকেজ উপহার হিসাবে তুলে দিতে পারেন তাঁদের হাতে। সারা দিন কী রান্না হবে, কী বাজার হবে, কাজের মাসি এল কি না– এই সব ভাবনা থেকে না হয় একদিন ছুটি দিলেন দু’জনকে।
সালোঁ ভাউচার : শাশুড়ি মাকে একটা নতুন মেকওভার দিলে কেমন হয়? সেক্ষেত্রে দিতে পারেন একটা সালোঁ ভাউচার। হেয়ার স্পা, বডি স্পা, বডি মাসাজ, হেয়ার কালার, মেনিকিউর, পেডিকিউর, ফেশিয়াল; সব মিলিয়ে একটা প্যাকেজ করিয়ে দিতেই পারেন।
এছাড়াও দিতে পারেন মোবাইল ফোন, গান শোনার জন্য ব্লুটুথ স্পিকার, ঘড়ি। এমনকি শাশুড়ি সহ পরিবারের সকলকে নিয়ে খেতে যেতে পারেন কোনো রেস্তোরাতেও। কিংবা কয়েকদিনের জন্য কোনো ট্রিপে। যে জায়গাটা আপনার শাশুড়ি পছন্দ করেন। কি? কেমন লাগলো আইডিয়াগুলো? ট্রাই করে দেখুন তাহলে এবারের জামাইষষ্ঠীতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন