সমকালীন প্রতিবেদন : খেজুর একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও উপকারী ফল, যা প্রাচীনকাল থেকেই মানবদেহের উপকারে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও উপমহাদেশে এই ফলটির ব্যবহার অত্যন্ত জনপ্রিয়। খেজুর শুধু রমজান মাসেই নয়, সারাবছরই খাওয়া উচিত স্বাস্থ্যসুরক্ষার জন্য।
খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ, যা দ্রুত শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। এইজন্য দীর্ঘ সময় উপবাস থাকার পর খেজুর খেলে তা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি ফিরিয়ে আনে। এছাড়াও এতে আছে ফাইবার, যা হজমক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কার্যকর।
খেজুরে আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্কসহ বিভিন্ন খনিজ উপাদান। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে। আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়। খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যেমন পলিফেনল ও ক্যারোটিন শরীরকে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয় চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস।
খেজুর চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং ঘুম ভালো হয়। এছাড়াও গর্ভবতী নারীদের জন্য খেজুর অত্যন্ত উপকারী, কারণ এটি প্রসবকালীন শক্তি ও সহনশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
সব মিলিয়ে খেজুর একটি আশ্চর্যজনক ফল, যা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীর ও মন দুটোই উপকৃত হয়। তবে অতিরিক্ত খাওয়া এড়ানো উচিত, বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে। খেজুর প্রধানত উষ্ণঅঞ্চলের ফল।নিরক্ষীয় ও মৌসুমীজলবায়ু অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খেজুরের উপযোগিতা সবচেয়ে বেশি। তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ মেনে বলা হয়, রোজ খেজুর খান আর সুস্বাস্থ্য বজায় রাখুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন