সমকালীন প্রতিবেদন : জি বাংলা সারেগামাপা টক শোতে পের গোবরডাঙার জয়জয়কার। গানের জনপ্রিয় এই রিয়েলিটি শোতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে গোবরডাঙার ঐশী চক্রবর্তী। তার সাফল্যে আজ গর্বিত গোটা এলাকা। উৎসবমুখর হয়ে উঠলো গোটা এলাকা। শুভেচ্ছা জানাতে তার বাড়িতে হাজির হলেন গোবরডাঙা পুরসভার প্রধান সহ অন্যান্যরা।
বছর ১৩ বয়সের ঐশীর এই সাফল্যে এদিন গড়পাড়া এলাকা যেন উৎসবের চেহারা নিল। জায়েন্ট স্ক্রিনে দেখানো হল সাফল্যের সেই মুহূর্ত, এলাকার মানুষ এক জায়গায় জড়ো হয়ে আনন্দে শামিল হলেন ঐশীর জন্য। গোবরডাঙা খাটুরা গার্লস হাইস্কুলের ক্লাস সেভেনের এই ছাত্রীর ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি রয়েছে গভীর অনুরাগী।
ক্লাস ফোর থেকে শুরু হয় তার সংগীতের পথচলা। বেসরকারি টিভি চ্যানেলের গানের রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বিচারকদের মন জয় করে নেয় ঐশী। চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে দ্বিতীয় স্থান দখল করার খবর সামনে আসতেই গোবরডাঙায় খুশির জোয়ার।
তার বাড়ি গড়পাড়া এলাকায় আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং এলাকাবাসীরা ভিড় জমায় তাকে সংবর্ধনা জানাতে। হাজির হন গোবরডাঙা পুরসভার প্রধান শংকর দত্ত-সহ বিশিষ্টজনেরাও। ঐশীর এই সাফল্যে আজ খুশি তার গোটা পরিবারও। বাবা প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত হলেও মেয়ের গানের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে তিনি সব সময় পাশে থাকেন।
ঐশীর মা শিউলি চক্রবর্তী পড়াশোনার পাশাপাশি মেয়ের গানের চর্চায় সব রকমভাবে সাহায্য করেন। মেয়ের এই সাফল্যে আপ্লুত তারা দু’জনেই। আগামীতে আরও বড় জায়গায় পৌঁছাক ঐশী, সেই ইচ্ছাই প্রকাশ করলেন তাঁরা। রিয়েলিটি শোতে অংশগ্রহণের বিষয় নিয়ে ঐশী জানায়, এই অভিজ্ঞতা তার কাছে অসাধারণ ছিল।
এই জার্নিতে বিভিন্ন সেলিব্রিটির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছে, অনেক কিছু শিখেছে ঐশী। এত মানুষের ভালোবাসা পেয়ে সে অভিভূত। গোবরডাঙাবাসীদের আশা, ভবিষ্যতে আরও বড় মঞ্চে নিজের প্রতিভা মেলে ধরবে ঐশী এবং গোবরডাঙার নাম আরও উজ্জ্বল করবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন