সমকালীন প্রতিবেদন : পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে আমদানি রপ্তানি বানিজ্যের জন্য সীমান্তে বেশ কিছু পরিকাঠামো তৈরি হলেও পরিবহনের ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। এরজন্য একদিকে যেমন যশোর রোড সম্প্রসারণ, নতুন বাইপাস রোড তৈরি করা এবং কলকাতা থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত মেট্রোরেল পরিষেবা চালু করা প্রয়োজন। এমনই মনে করেন এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা।
শনিবার বনগাঁয় পেট্রাপোল এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানে পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আগামীদিনে ব্যবসার আরও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কি কি পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে পরিবহন সংক্রান্ত পরিকাঠানো উন্নয়নের প্রসঙ্গও উঠে আসে।
এমনিতেই বর্তমানে বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে এদেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে। আর সেই কারণে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত এদেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। এদিনের বার্ষিক সভায় সেই উদ্বেগের কথাও তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি, নতুন নিয়ম অনুযায়ী ভারত থেকে পণ্যবোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়ে স্লট বুকিং করতে হয়।
রাজ্য সরকারের নতুন এই নিয়মে টাকার পরিমাণ কমানোর দাবি তুলে দিনের দিন ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের ব্যবস্থা করার দাবি ওঠে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত পেট্রাপোলের শুল্ক আধিকারিক দিব্যেন্দু দাস বলেন, আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের কাজ সুষ্ঠভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা যেকোনও প্রয়োজনে তাঁর কাছে আসতে পারেন। সহযোগিতার আশ্বাস দেন এলপিআই এর ম্যানেজার কমলেশ সাহানিও।
সংগঠনের সভাপতি প্রদীপ দে বলেন, বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি পরিকাঠামোর উন্নয়নের অংশ হিসেবে যশোর রোডকে চওড়া করা, একটি নতুন বাইপাস তৈরি করা এবং কলকাতা থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত মেট্রো রেল চালু করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই ধরনের পরিকাঠামো তৈরি হলে এই সীমান্ত দিয়ে আমদানি রপ্তানির কাজে আরও গতি আসবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন