সমকালীন প্রতিবেদন : বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে জলমগ্ন এলাকার মানুষদের জন্য আজ থেকে রান্না করা খাবার পরিবেশন করার কাজ শুরু হলো। এদিন দুপুরে পুরসভা এলাকার বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে মা ক্যান্টিনের মাধ্যমে এই খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই পরিষেবা চলবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গেছে।
বর্ষা একপ্রকার বিদায় নিলেও নিম্মচাপের জেরে দফায় দফায় টানা বৃষ্টির কারণে ইছামতী নদীর জল অনেকটাই বেড়ে যায়। যার ফলে সেই অতিরিক্ত জল নদীর দুই পাড়ের নিচু এলাকার মানুষদের জলমগ্ন করে। বাড়ির উঠোন থেকে রাস্তা, অনেকটাই জলের নিচে।
এই অবস্থায় অনেককেই বাড়ি ছেড়ে সরকারি ত্রাণ শিবির কিম্বা রেল আইনের ধারে তাবু টাঙিয়ে থাকতে হচ্ছে। অনেকে জলমগ্ন অবস্থাতেই কোনওরকমে নিজেদের বাড়িতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। জল কিছুটা কমলেও গত দুদিনের বৃষ্টিতে ফের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে।
এই পরিস্থিতিতে এবার বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে এই দুর্গত মানুষদের জন্য শনিবার থেকে মা ক্যান্টিনের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান পরিষেবা চালু করা হল। এদিন বনগাঁ রেল স্টেশন এলাকায় লাইনপাড় সহ বিভিন্ন এলাকার অসহায় মানুষদের মধ্যে নিজে হাতে ভাত, ডাল, ডিম পরিবেশন করেন এলাকার কাউন্সিলর এবং পুরসভার কর্মীরা।
এদিকে, এদিন আলাদাভাবে বনগাঁর ১২ পল্লী লোকনাথ মন্দির কমিটির উদ্যোগে জলমগ্ন এলাকার অসহায় মানুষদের মধ্যে চাল, ডাল, আলু, আটা, বিস্কুট ইত্যাদি পরিবেশন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ পুরসভার কাউন্সিলর নারায়ণ ঘোষ। প্রায় এক হাজার মানুষের মধ্যে এই খাদ্যদ্রব্যগুলি বিলি করা হয়।
এব্যাপারে কাউন্সিলর নারায়ণ ঘোষ বলেন, 'দুর্গাপুজোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে ৮৫ হাজার টাকা দিয়েছেন, সেই টাকার অধিকাংশটা দিয়ে আমরা ১৫, ২০ এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১ হাজার দুর্গত পরিবারের হাতে ত্রাণ তুলে দিলাম। প্রত্যেকটা ক্লাব যেন এইভাবে এগিয়ে আসে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন