সমকালীন প্রতিবেদন : শচীন তেন্ডুলকর যখন অবসর নিয়েছিলেন, তখন তাঁর উত্তরসূরি কে হবেন সেই নিয়েই শুরু হয়েছিলো জল্পনা। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই কোহলি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, ভারতীয় ক্রিকেটে আরেকজন কিংবদন্তি তৈরি হয়ে গিয়েছে। টেস্ট হোক বা ওডিআই কিংবা টি-২০, তিন ফর্ম্যাটেই নিজেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। সেই কারণে অল্পদিনেই ভক্তদের থেকে আদায় করে নিয়েছেন ‘কিং কোহলি’ ডাকনাম।
বছর ৩৫-এর কোহলির সংগ্রহে এই মুহূর্তে রয়েছে ৮৮৪৮ টেস্ট রান। ১০০’র বেশী টেস্ট খেলে ফেলেছেন ইতিমধ্যে। ওডিআই-তে ২৯৫ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ১৩৯০৬ রান। আর টি-২০তে ১২৫ ম্যাচে করেছেন ৪১৮৮। তিন ফর্ম্যাটে শতরানকারী ভারতীয় ক্রিকেটারের সংখ্যা মাত্র ৫। তার মধ্যে একজন বিরাট।
ভারতীয় ক্রিকেটে ফিটনেস নিয়ে বিপ্লব আনার কাণ্ডারীও বলা হয় তাঁকে। অধিনায়ক হিসেবে শরীরী ভাষার মধ্যে যে আগ্রাসনকে তিনি স্থান দিয়েছিলেন, তা টিম ইন্ডিয়াকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো অনেক দূর। প্রথম অধিনায়ক হিসেবে তিনিই অস্ট্রেলিয়াকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পরাজিত করে ভারতকে টেস্ট সিরিজ এনে দিয়েছিলেন।
টেস্ট, একদিনের ক্রিকেট ও টি-২০ মিলিয়ে ২১ বার সিরিজ সেরার পুরষ্কার জিতেছেন বিরাট কোহলি। যা ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এছাড়াও, একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টি-২০ বিশ্বকাপে একাধিকবার টুর্নামেন্ট সেরার পুরষ্কার জিতেছেন।
পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শতরানের মালিক তিনি। ৮০টি শতরান রয়েছে তাঁর। শীর্ষে শচীন তেন্ডুলকর। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ১০০ টি আন্তর্জাতিক শতক। তবে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ৭টি ডবল-সেঞ্চুরি করেছেন বিরাট।
রিকি পন্টিং ও ম্যাথু হেডেনের পর কোহলি তৃতীয় ব্যাটার যিনি আইসিসি র্যাঙ্কিং-এ তিন ফর্ম্যাটেই শীর্ষস্থানে পা রেখেছেন। ভারতের হয়ে জিতেছেন ওডিআই বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও টি-২০ বিশ্বকাপ। মাত্র গুটিকয় খেলোয়াড়ের এই ত্রিমুকুট জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে।
কোহলির অভিষেকের পর বিশ্বক্রিকেটে তাঁর চেয়ে বেশী শতক, অর্ধশতক, দ্বিশতক, আন্তর্জাতিক রান, ওডিআই রান কেউ করতে পারেন নি। আইসিসি প্রতিযোগিতাতেও সর্বোচ্চ রান তাঁরই, অ্যাওয়ার্ডের সংখ্যায় পিছনে ফেলেছেন বাকিদের। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হওয়ার ক্ষেত্রেও সবার উপরে বিরাট। আর সেই কারণেই হয়তো বিরাটকে আজ কিং কোহলির শিরোপা দেন তাঁর ভক্তরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন