সমকালীন প্রতিবেদন : নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে রণক্ষেত্র বাংলার পরিস্থিতি। কলকাতা এবং হাওড়ার দিকে দিকে পথে নেমে পড়েছেন আন্দোলনকারীরা। ইতিমধ্যেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন আন্দোলনকারীরা। উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হাওড়া ব্রিজ এলাকায়।
ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আন্দোলোনকারীরা। আর তারপরই বিক্ষোভকারীদের আটকাতে লাঠি চালাতে শুরু করে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে এরপর কাঁদানে গ্যাসের সেল এবং জলকামান চালানো হয়।
আর জি করের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবীতে চলতে থাকা একাধিক প্রতিবাদী মিছিলের মধ্যে মঙ্গলবার ছিল নবান্ন অভিযান। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা এই অভিযান যাতে নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারে, সেই কারণে রাস্তায় রাস্তায় শক্তিশালী ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
দলে দলে মানুষজন যোগ দিয়েছেন এই আন্দোলনে। তাঁরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জলকামানের প্রয়োগ করছেন পুলিশ কর্মীরা।
ইতিমধ্যেই এই প্রতিবাদী মিছিল থেকে প্রায় ১০০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও, বিভিন্ন জায়গায় মিছিলে আগত আন্দোলনকারীদের আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বন্ধ করা হয়েছে একের পর এক নবান্নমুখী রাস্তা।
এই মুহূর্তে কাদানে গ্যাস, জল কামান প্রয়োগ করা হচ্ছে হাওড়া ব্রিজের উপর আগত আন্দোলনকারীদের। এমনকি জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে দলে দলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের তৈরি ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি, পুলিশের বাঁধার সম্মুখীন হয়ে বিভিন্ন রাস্তায় ধর্নায় বসেছেন আন্দোলনকারীরা।
অন্যদিকে, আন্দোলনকারীদের দিক থেকে ইটবৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ পুলিশের। আর সেই ইটের আঘাতে এক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, পুলিশের লাঠির আঘাতে বহু আন্দোলনকারী আহন হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিন পুলিশের পক্ষ থেকে একের পর এক জলকামান চালিয়ে আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন