সমকালীন প্রতিবেদন : ভারতীয় ক্রিকেট দলে প্রধান প্রশিক্ষক পদে এসেছেন গৌতম গম্ভীর। চলতি সপ্তাহেই তাঁকে এই পদে বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। এরই মধ্যে জানা গেছে, কলকাতা নাইট রাইডার্সে তাঁর সঙ্গে কাজ করা অভিষেক নাইয়ারকে ব্যাটিং কোচ হিসেবে চেয়েছেন তিনি।
কেকেআরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব সামলানো রায়ান টেন দুস্কাটেকেও ভারতীয় দলের কোচিং স্টাফের মধ্যে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। বোলিং কোচ হিসেবে গত দু একদিনে নাম ভাসছে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার মর্নি মরকেলের, যিনি আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন গৌতম গম্ভীরের সঙ্গেই।
অর্থাৎ এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, গৌতম গম্ভীর নিজের চেনা সতীর্থদের ওপরেই ভরসা রাখছেন। এই আবহেই এবার জোর কদমে ফিটনেস অনুশীলনে দেখা গেল শ্রেয়স আইয়ারকে। উল্লেখ্য, গত বছর ওডিআই বিশ্বকাপ খেলার পর আর সেভাবে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলতে দেখা যায়নি শ্রেয়স আইয়ারকে।
কোচ রাহুল দ্রাবিড়, নির্বাচক কমিটি এবং বোর্ডের নির্দেশ ছিল ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় খেলতে হবে। কিন্তু জাতীয় দলে না খেলে, ঘরোয়া প্রতিযোগিতাতেও তিনি খেলেন নি। পিঠের ব্যথার জন্য নিজেকে আনফিট দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু এনসিএ জানিয়ে দেয়, তাঁর ফিটনেসে কোনও সমস্যা নেই।
যার ফলে বোর্ডের কোপে পড়েন নাইট অধিনায়ক। বাদ পড়েন জাতীয় দল থেকে। চাপে পড়ে মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি ফাইনাল খেললেও তাতে বরফ গলেনি। তাঁকে আর জাতীয় দলে ফেরায়নি নির্বাচকরা। টি–২০ বিশ্বকাপেও সুযোগ পাননি শ্রেয়স আইয়ার।
অবশেষে ভারতীয় দলের কোচের পদে গৌতম গম্ভীর আসতেই নতুন করে জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছেন শ্রেয়স। কারণ, কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার এবারে আইপিএল জিতেছেন।
প্রতিযোগিতার শুরুর দিকে শ্রেয়সের ব্যাটে তেমন রান না এলেও, দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় অত প্রশ্ন ওঠেনি। ফিটনেসগত কিছু সমস্যা রয়েছে তাঁর। এই আবহেই গম্ভীরের ভারতীয় দলের কোচ হওয়া শ্রেয়সের কাছে আশীর্বাদের মতোই হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন