Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ১ জুন, ২০২৪

রাজ্য ও কেন্দ্রের বাহিনী ব্যর্থ, সন্দেশখালি রয়ে গেল সন্দেশখালিতেই

 

Noise-in-Sandeshkhali

সমকালীন প্রতিবেদন : অশান্তির আঁতুড়ঘর আবারও সেই সন্দেশখালি। লোকসভা নির্বাচনের এই শেষ দফা নির্বাচনে পাখির চোখ কেন্দ্র ছিল সন্দেশখালি। সীমান্তবর্তী এই এলাকা বর্তমান সময়ে বহুবার সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর সেই সন্দেশখালিতে এদিনও অশান্তির চিত্রের ব্যতিক্রম হল না।

দিনের শুরুটা ভালোভাবে হলেও, বেলা যত বেড়েছে, উত্তেজনার পারদও তত চড়েছে। কোথাও ইট মেরে আঘাত করা হয়েছে মহিলা ভোটারকে, কোথাও বা আবার মারধোর করা হয়েছে নতুন ভোটারকে। আবার কোথাও বা শাজাহানহীন সন্দেশখালির মানুষ ভোট দিয়েছেন নির্বিঘ্নেই।

লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফাতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গেল অশান্তির চিত্র। আর সেই তালিকায় বাদ গেল না সন্দেশখালিও। অভিযোগ উঠেছে, বসিরহাট লোকসভা আসনের এই সন্দেশখালিতে বারবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে গেরুয়া এবং সবুজ বাহিনী। 

আর সেই পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে শুরু করে রাজ্য পুলিশ। কোথাও লাঠি চার্জ করেছে পুলিশ, তো কোথাও আবার প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেছেন সাধারণ মানুষ। এককথায়, প্রস্তুতি নিয়েও শেষরক্ষা করতে পারল না কোন সুরক্ষা মোতায়েন বাহিনীই।

সন্দেশখালির বয়ারমারি থেকে অভিযোগ উঠেছে, বুথের সামনে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে কটূক্তি করছিল বিজেপি বাহিনী। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি নলিনী খাটুয়া, এক বিজেপি কর্মীসহ আহত হয়েছেন অনেকেই। এমনকি আহতদের হাটগাছি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। এই ঘটনার জেরে পথ অবরোধ করলে পরবর্তীতে পুলিশ এসে সেই অবরোধ তুলে দেয়।

অন্যদিকে অভিযোগ উঠেছে, রাজবাড়ি এলাকায় বিজেপি কর্মীদের আক্রমণ থেকে শুরু করে ইটবৃষ্টি করে তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করলে, পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে তাঁদের সেখান থেকে তুলে দেয়। 

এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। সেখানে উপস্থিত পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়াতেই তিনি বলেন, ‘জানেন তো পাবলিকের মার, দুনিয়ার বার। আপনারা যা অত্যাচার চালাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু কিছুই করতে পারবে না’।

এককথায় সকাল থেকেই সন্দেশখালির চারিদিক থেকে উঠে এসেছে নানারকম অশান্তির ছবি। যে এলাকাকে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করে স্পেশাল প্রোটেকশন দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই ব্যর্থ হল প্রশাসন। যাকে বলে, প্রশাসনের নাকের ডগায় দাঁড়িয়ে, সন্দেশখালি এখন পড়ে আছে সন্দেশখালিতেই।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন