প্রতীকী চিত্র
সমকালীন প্রতিবেদন : এক পর্ব পেরিয়ে প্রস্তুতি আরও এক পর্বের। এবারের লক্ষ্য হিমালয়। আর সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই দুটি অভিযাত্রী দল বেরিয়েও পড়েছেন এই শৃঙ্গ জয়ের উদ্দেশ্যে। এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী মলয় মুখোপাধ্যায় এবং দেবাশিস বিশ্বাসের নেতৃত্বে তাঁদের এবারের টার্গেট ৬২২১ মিটার উচ্চতায় হিমাচলের ইন্দ্রাসন শৃঙ্গ এবং ৬০০১ মিটারে পড়শী দেওটিব্বা।
টার্গেট নিলেও, এই দুই শৃঙ্গ জয় যে খুব একটা সহজ হবে না, সেকথাও জানিয়েছেন তাঁরা। বিপজ্জনক পথ, ভাঙাচোরা আইসফলের বাধা পেরিয়ে হিমাচলের পীর পঞ্জাল হিমালয়ের সবচেয়ে কঠিন শৃঙ্গ ইন্দ্রাসন জয় করার লক্ষ্যে মলয় মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই ঘর ছেড়েছেন হাওড়ার পর্বতারোহণ ক্লাবের ১২ জনের দল।
এমনকি এরই মধ্যে তাঁরা ইন্দ্রাসনের বেসক্যাম্প থেকে আরও উপরের ক্যাম্পে উঠে গত ১৫ জুন সকালে মলয়-সহ ওই দলের ৯ জন সদস্য দেওটিব্বার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছেন। অন্যদিকে, এরই মধ্যে ১১ জন সঙ্গীকে নিয়ে দেবাশিস বিশ্বাসেরও কথা রয়েছে ওই একই শৃঙ্গ জয় করার। এগোবেন মলয়ের পেছন পেছনই।
সকলের টার্গেট একটাই ইন্দ্রাসন। কিন্তু কেন? এই বিষয়ে ১১ জন সঙ্গীকে নিয়ে ইন্দ্রাসনের নেতৃত্ব দিতে চলা দেবাশিস বিশ্বাস জানান, ‘২০০৭ সালের পরে আমার আর ইন্দ্রাসনে যাওয়া হয়নি। তাই মলয়ের দলের সাত হাজারি ইন্দ্রাসন পছন্দ হতেই, ওঁদের পেছন পেছন আমিও দল নিয়ে বেরিয়ে পড়ি।
২০২২ সালে সোনারপুরের একদল আরোহী ইন্দ্রাসন জয় করতে সফল হয়েছিলেন। তাঁদের দেওয়া রিপোর্ট, ছবি ও ভিডিয়ো দেখেই আমরা প্ল্যান তৈরি করি। আবার আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে প্ল্যান বিও তৈরি করে রেখেছি। ইন্দ্রাসন খুব একটা সহজ নয়, তাই প্রয়োজনে প্ল্যান বি অ্যাপ্লাই করব।’
এদিকে আবার আরও এক পর্বতারোহী রমেশ রায়ের নেতৃত্বে আগামী মাসে লাদাখগামী দমদমের একটি দলের লক্ষ্য ৭০৭৭ মিটার জাংসকার রেঞ্জের কুন এবং ৬৯৩০ মিটার পিনাকল। খরচ হবে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা।
এই বিষয়ে এভারেস্ট ও কাঞ্চনজঙ্ঘাজয়ী রমেশ বলেন, ‘কুন ঠিকঠাক থাকলেও পিনাকল কিন্তু খুবই চ্যালেঞ্জের। খাড়াই পথ, বরফের ফাটল থাকা এই রাস্তায় পরতে পরতে রয়েছে অ্যাডভেঞ্চার। পুরুলিয়ার পাহাড়ে স্নোবুট পরে, জুমারিং করে নিজেকে দেখে নিয়েছি। পুরোপুরি বিশ্বাস আছে নিজের উপর। আগামী ৪ জুলাই ছয় শেরপাকে নিয়ে জম্মু-কার্গিল-সফৎনালা হয়ে কুনের বেসক্যাম্পে পৌঁছানো এখন টার্গেট।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন