সমকালীন প্রতিবেদন : রথযাত্রা মানেই সকলের কাছে একটা আবেগ। প্রতি বছর পুরীতে এই সময়টা মহাসমারোহের সঙ্গে পালন করা হয়। তিনটি রথে করে জগন্নাথদেব, বলরাম এবং তাঁদের বোন সুভদ্রাকে নিয়ে যাওয়া হয় মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে মাসির বাড়ি গুণ্ডিচা মন্দিরে। সেখানেই ৭ দিন থাকার পর, আবারও নিজেদের মন্দিরে ফিরে আসা।
প্রতিবছর এই বিশেষ সময়কে কেন্দ্র করে সেজে ওঠে গোটা পুরী শহর। পুরী এমন একটা জায়গা, যেখানে বছরের প্রায় সবসময়ই বহু পর্যটকদের দেখা মেলে। একদিকে পুরীর মন্দির এবং অন্যদিকে সমুদ্র, সব মিলিয়েই পুরী কখনই ফাঁকা যায় না।
আর এই সময়টায় রথের রশিতে টান দেওয়ার জন্য অগণিত ভক্ত এসে ভিড় জমান পুরীর শ্রীমন্দিরে। এই সময়টায় সেখানে যাওয়া মানে পূণ্য অর্জন করা, এমনই মনে করা হয়।
রথের দিন ২২টি সিঁড়ি বা ধাপ বেয়ে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রাকে নামানো হয়। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘বৈশি পঁহচা’। এরপর গর্ভগৃহের ২২ ধাপের তৃতীয় ধাপে শিবের দর্শন নেওয়ার পর দুলিয়ে দুলিয়ে বাজনা বাজিয়ে জগন্নাথ দেবের বিগ্রকে তোলা হয় রথে। এই পদ্ধতি পহন্ডি নামে পরিচিত।
এরপর পুরীর শঙ্করাচার্য এসে আরতি করেন এবং পুরীর রাজা সোনার ঝাঁটা দিয়ে রথ চলার রাস্তা পরিষ্কার করে দেন। তারপর রীতি মেনে শিঙা বাজিয়ে কাসর ঘণ্টা সহযোগে রথের রশিতে টান দেওয়া হয়। পুরান অনুসারে, এই রথের রশি কিন্তু দড়ি নয়। এই রশি হল শঙ্খচূড় নামেন এক সাপ এবং জগন্নাথ দেবের রথের রক্ষাকর্তা হলেন গরুড়।
এবছর ৭ জুলাই শুরু হচ্ছে রথযাত্রা। শুভ তিথি থাকছে ৭ জুলাই ভোর ৪ টে বেজে ২৬ মিনিট থেকে ৮ জুলাই সকাল ৪ টে বেজে ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এরপর ভাইবোনদের সঙ্গে নিয়ে জগন্নাথদেব মাসির বাড়ি থেকে ফিরবেন অর্থাৎ উল্টোরথ হবে ১৬ জুলাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন