সমকালীন প্রতিবেদন : আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুনভাবে উত্থান ঘটছে আফগানিস্তানের। বিশ্বকাপের মতো ময়দানে বড় বড় দলকে হারাচ্ছে তারা। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান। গত বছর একদিনের বিশ্বকাপে আফগানেরা জয়ের দোরগোড়ায় গিয়েও জিততে পারেনি।
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই কাজ করে দেখিয়েছে তারা। তাই এদিন জয়ের পরে অস্ট্রেলিয়ার কাছে অনুরোধ করে রশিদ খান জানালেন, তাঁদের থেকে ক্রিকেট যেন কেড়ে না নেওয়া হয়। কিন্তু কেন এমন কথা বললেন আফগান সেনাপতি? এর নেপথ্যে কী কারণ থাকতে পারে?
আসলে আফগানিস্তানের শাসক হিসাবে তালিবান আসার পর থেকেই মেয়েদের শিক্ষা এবং খেলাধুলোর অধিকার বন্ধ করে দিয়েছে। এর প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় খেলবে না তারা।
এ বছরের শুরুতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজও বাতিল করে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর রশিদ বলেছেন, 'আমরা ক্রীড়াবিদ। খেলাধুলো ভালবাসি। দেশের মানুষও খেলাধুলো ভালবাসে।'
তিনি বলেছেন, 'দেশের মানুষের কাছে ক্রিকেটই সুখের একমাত্র উৎস। একমাত্র খেলা যেটা নিয়ে আফগানিস্তানের মানুষ উৎসব করতে পারে। যদি সেই সুখটাকেও আমরা কেড়ে নিই, তা হলে জানি না আফগানিস্তানের জন্য আর কী পড়ে থাকবে।'
রশিদ আরও বলেছেন, 'এখন যদি বিশ্বের যে কোনও জায়গায় গিয়ে আপনি বলেন যে আফগানিস্তান থেকে আসছেন, লোকে কোনও না কোনও ক্রিকেটারের নাম ঠিক বলতে পারবে। আমাদের সুখের একমাত্র উৎসটাকেও যদি আপনারা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন, তা হলে আমাদের জন্য সেটা খুব দুঃখের ব্যাপার।'
রশিদ জানিয়েছেন, তালিবানের দেশ শাসনের ব্যাপারে তাঁদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তাঁরা ইচ্ছা থাকলেও কিছুই করতে পারবেন না। তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে কোনও সমাধান থাকলে খুবই খুশি হতাম। দুঃখের বিষয় সেটা নেই।'
তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, 'রাজনীতির ব্যাপারে আমি বিশেষ কিছু জানি না। পছন্দও করি না। যদি বিশ্বকাপে আমরা খেলতে পারি, তা হলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়ে সমস্যা কোথায়?' হয়তো আফগানদের এই আবেদন মঞ্জুর করবে অস্ট্রেলিয়া। আবার হয়তো তালিবান অধ্যুষিত আফগানিস্তানে বাজবে ক্রিকেটের দামামা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন