Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪

‌বাগদায় ঝাড়ফুঁকের আড়ালে অসুস্থ নাবালিকার শ্লীলতাহানি ওঝার

Molestation-of-minors

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌শ্বাসকষ্টের সমস্যা সমাধান করাতে গিয়ে ওঝার হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হল এক নাবালিকা। ঝাড়ফুঁকের আড়ালে ওঝা যে এমন কান্ড ঘটাতে পারে, তা একেবারেই কল্পনার বাইরে ছিল নাবালিকার পরিবারের কাছে। অবশেষে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ওই ওঝাকে।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার আষাঢ়ু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক নাবালিকা। অনেক চিকিৎসককে দেখিয়েও সমস্যার সমাধান হচ্ছিল না। ফলে দিশাহারা হয়ে পড়েছিল নাবালিকার পরিবার।

এই অবস্থায় দিন দুই আগে বাগদার মেহেরানী এলাকার বাসিন্দা সাদেক বিশ্বাস নামে এক ওঝার সন্ধান পায় ওই নাবালিকার পরিবার। তারা জানতে পারেন যে, ওই ওঝা অনেকদিন ধরে ঝাড়ফুঁকের কাজ করে। আর তার কাছে মেয়েকে নিয়ে গেলে না কি তাদের মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠবে।

মেয়েকে সুস্থ করার আশায় অনেক বিশ্বাস নিয়ে এরপর নাবালিকার পরিবার ওই ওঝার সঙ্গে যোগাযোগ করে। আর সেইমতো গতকাল ওঝা সাদেক বিশ্বাস নাবালিকার বাড়িতে আসে। ওই ওঝা নাবালিকাকে এক ঝলক দেখে বলে দেয় যে, সে নাবালিকার অসুখ সারিয়ে দেবে।

ওঝার কথা শুনে আশ্বস্ত হন নাবালিকার বাড়ির সদস্যরা। এরপর ওঝার কথামতো নাবালিকাকে একটি আলাদা ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেই ঘরে একাই ঢোকে ওঝা। এরপর বেশ কিছুক্ষণ পর ঘর থেকে বেরিয়ে এসে টাকাপয়সা নিয়ে চলে যায় ওই ওঝা।

ওঝা চলে যাওয়ার পর নাবালিকা বাড়ির লোকেদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে। আর এথন সে ওঝার কীর্তিকলাপের কথা জানায়। সে জানায় যে, রোগ সারানোর নাম করে ওই ওঝা তার শ্লীলতাহানি করেছে। এমন কথা শুনে অবাক হয়ে যায় নাবালিকার পরিবার। 

রাতেই ওই বুজরুক ওঝার বিরুদ্ধে বাগদা থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে বাগদা থানার পুলিশ। বুধবার তাকে বনগাঁ আদালতে তোলা হয়।

যেহেতু আক্রান্ত একজন নাবালিকা, তাই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তবে এই মুহূর্তে পকসো আদালত বন্ধ থাকায় আপাতত অভিযুক্তকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। 

গরমের ছুটি শেষ করে ৩ জুন আদালতে বিচারকাজ ফের শুরু হবে। ওই দিন ফের তাকে আদালতে তোলা হবে বলে বনগাঁ মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী সমীর দাস জানিয়েছেন।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন