সমকালীন প্রতিবেদন : বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক স্কুলে সাংসদ কোটার টাকা অনুমোদন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সেই বিতর্কেরই জবাব দিলেন বনগাঁর বিদায়ী সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের অভিযোগ খন্ডন করলেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনের মুখে বনগাঁ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে একটি ইস্তেহারপত্র প্রকাশ করেছেন বিদায়ী সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। গত ৫ বছরে তিনি তাঁর সাংসদ কোটার টাকায় কি কি কাজ করেছেন, তার উল্লেখ করা হয়েছে সেই ইস্তেহারে।
সেই ইস্তেহারে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, গোবরডাঙার খাঁটুরা হাইস্কুলে স্মার্ট ক্লাসরুমের জন্য তিনি তাঁর সাংসদ কোটা থেকে ১০ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছেন। একই পরিমাণ অর্থ তিনি গাইঘাটার পাঁচপোতা ভাড়াডাঙা হাইস্কুলের জন্যও অনুমোদন করেছেন।
আর এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দাবি, বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী তাঁর ইস্তেহারপত্রে স্কুলের জন্য যে অর্থ অনুমোদনের কথা উল্লেখ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এইরকম কোনও অর্থ তাঁরা পান নি।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এদিন শান্তনু ঠাকুর সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন যে, এই দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা যে অভিযোগ করছেন, তা মিথ্যা। একটি চিঠি দেখিয়ে শান্তনু ঠাকুর এদিন বলেন যে, খাঁটুরা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য তাঁ কাছে আবেদন করেন।
শান্তনুর দাবি, প্রধান শিক্ষকের সেই আবেদন অনুসারে তিনি তাঁর সাংসদ কোটা থেকে জেলা শাসকের মাধ্যমে ১০ টাকা অনুমোদন করেন। যেহেতু তিনি টাকা অনুমোদন করেছেন, তাই তাঁর অধিকার আছে, সেকথা তাঁর নির্বাচনী ইস্তেহারে উল্লেখ করা। একই ঘটনা পাঁচপোতা হাইস্কুলের ক্ষেত্রেও ঘটেছে।
শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য, স্কুল কর্তৃপক্ষের আবেদন ছাড়া তিনি নিজে থেকে কোনও স্কুলের জন্য সাংসদ কোটার টাকা অনুমোদন করেন নি। অনুমোদনের পর সেই টাকা যদি স্কুল কর্তৃপক্ষ কাজে না লাগায়, তার দায় তাঁর নয় বলে জানান।
সাংসদের অভিযোগ, তৃণমূলের চাপে পড়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। তৃণমূলের কথা না শুনলে ওই শিক্ষকদের চাকরিক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। তাই তাঁরা এই অভিযোগ তুলছেন বলে দাবি করেন শান্তনু ঠাকুর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন