সমকালীন প্রতিবেদন : বিয়ের দুমাসের মধ্যেই শ্বশুরবাড়িতে আত্মঘাতী হলেন এক বধূ। পণের জন্য চাপ দেওয়ার জন্য ওই বধূ আত্মঘাতী হতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ তার বাপের বাড়ির লোকেদের। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাস দুয়েক আগে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার চিনিলি দক্ষীণপাড়া এলাকার বাসিন্দা দেবাশীষ পালের সঙ্গে বিয়ে হয় মীনা পালের (১৯)। মীনার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, বিয়ের সময় শ্বশুরবাড়ির দাবিমতো পণ দেওয়া হয়।
কিন্তু তার পরেও আরো পণের দাবিতে মীনাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে চাপ দেওয়া হতো, মারধোর করা হতো বলে অভিযোগ। একথা মীনা তার বাপেরবাড়ির লোকেদের একাধিকবার জানিয়েছিলেন। মীনার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে এব্যাপারে কথাও বলেন মীনার পরিবারের সদস্যরা।
কিন্তু দিন দিন অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। বৃহস্পতিবার গোপালনগর থানায় একটি খবর আসে যে, চিনিলি দক্ষীণপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে এক গৃহবধূর দেহ ঝুলছে।
খবর পেয়ে গোপালনগর থানার আধিকারিক গৌরীপ্রসন্ন বন্ধু থানার অন্য সহকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিশ দেখে, ওই বাড়ির একটি বেডরুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না জড়ানো অবস্থায় মীনা পালের দেহ ঝুলছে।
পুলিশ মৃতদেহটি সেখান থেকে নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এদিকে, গোপালনগর থানায় মীনার স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে পণের জন্য অত্যাচার এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন মীনার বাবা জয়দেব পাল।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মীনার স্বামী দেবাশীষ পাল, শ্বশুর সুকুমার পালকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৯৮ এ, ৩০৪ বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের শুক্রবার বনগাঁ আদালতে তোলা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন