Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

কেন নিজেকে লুকিয়ে রাখতেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন?

 

Suchitra-Sen

সমকালীন প্রতিবেদন : মহানায়ক উত্তম কুমারের নায়িকা হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন। কিন্তু সুচিত্রা বা মিসেস সেন একটা সময় ছিলেন রমা। আজ্ঞে হ্যাঁ, এটাই ছিল তাঁর বাড়ির দেওয়া আদুরে ডাকনাম। 

তাই হয়তো ১৯৭৮ সালের পর থেকেই বাঙালির সাংঘাতিকভাবে কৌতূহল ছিল সুচিত্রা সেন ওরফে রমা এখন কেমন দেখতে...! কিন্তু কেন তাঁর এই জনপ্রিয়তা? তার কারণ খুঁজতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে কয়েক দশক আগে। 

রমা যখন বাংলা সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন, তখন সত্যিই বাংলা সিনেমা নতুন করে উত্তরণের পথ খুঁজছে। আক্ষরিক অর্থে সুন্দর মুখের নায়িকার বড় অভাব তখন সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে। নিউ থিয়েটার্সের স্বর্ণযুগও তখন শেষের পথে৷ 

তাই হয়তো উত্তম-সুচিত্রা জুটির প্রতিষ্ঠা সেই সময়ে বাঁচিয়ে দিয়েছিল ডুবন্ত বাংলা সিনেমাকে৷ যদিও শুরুতে উত্তম কুমার নয়, রমা বিখ্যাত হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে। 

অজয় কর পরিচালিত ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিতে অভিনয় করে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্‍সবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন অভিনেত্রী।আজ পর্যন্ত এই সম্মান কিন্তু আর কোনও ভারতীয় অভিনেত্রীর কপালে জোটেনি৷ 

তবে সুচিত্রা সেন অভিনয় শিখে আসেন নি। এমনকি ন্যাচারাল অভিনেত্রীও ছিলেন না তিনি। কিন্তু তাঁর অভিনয় দেখে কে বলবে সেসব কথা! উদাহরণ হিসেবে আমাদের সামনে আছে অনবদ্য 'সাত পাকে বাঁধা' ও 'উত্তর ফাল্গুনী'৷ 

এছাড়াও, 'দীপ জ্বেলে যাই' সিনেমাটি আক্ষরিক অর্থে রোম্যান্টিক প্রেমের সিনেমা না হলেও সুচিত্রা সেনের অভিনয় তাতে প্রাণ ঢেলে দেয়। 'প্রণয় পাশা' হল সেই সিনেমা, যেখানে সুচিত্রা সেন শেষবারের মতো অভিনয় করেছেন৷ 

৩৫ বছরের কেরিয়ারে মিসেস সেনের মোট ছবির সংখ্যা ৬০। সত্যজিৎ রায়ের 'নায়ক' উত্তমকুমারের জন্য হয়েছে। কিন্তু সুচিত্রার জন্য 'নায়িকা' নামের ছবি তৈরির কথা কোনও পরিচালক ভাবেন নি। 

যদি ভাবতেন, অথবা যদি তিনি সত্যজিৎ রায়ের 'দেবী চৌধুরাণী', 'ঘরে-বাইরে', বা পূর্ণেন্দু পত্রীর 'চতুরঙ্গ' তে অভিনয় করতেন, বলা যায় তাঁর অভিনয় দক্ষতা, ক্ষমতা নিয়ে পর্যালোচনা হতো একটু আলাদা মাত্রায়, অন্যভাবে। হয়তো এই আক্ষেপ নিয়েই নিজেকে আড়ালে সরিয়ে নিয়েছেন এই মহানায়িকা। 







‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন