সমকালীন প্রতিবেদন : কখনও কি ভেবে দেখেছেন, মহাকাশচারীরা মহাকাশে গিয়ে কী খান? জানলে অবাক হবেন। তাঁরা অনেক জিনিস খেতে পারেন না, যা তাঁরা ঘরে বসে প্রতিদিন খেতে পারেন। যেমন- মহাকাশে রুটি খাওয়া নিষেধ।
রুটি মহাকাশ স্টেশনের বায়ুমণ্ডলে ভাসতে শুরু করে এবং তাদের টুকরো মহাকাশচারীদের চোখে ঢুকে গিয়ে, যে কোনও সময় ক্ষতি করতে পারে। মহাকাশে থেকে বছরের পর বছর গবেষণার কাজ করা মহাকাশচারীরা অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে জীবনযাপন করেন।
মহাকাশচারীদের যেসব খাবার মহাকাশে থাকা অবস্থায় একেবারেই খাওয়া নিষেধ, তার মধ্যে রয়েছে কুকিজ বা বিস্কুট এবং টোস্টের মতো খাবার। এর টুকরোগুলিও মহাকাশে ভাসতে শুরু করে। এগুলো চিবানো এবং গিলে ফেলার সময় মহাকাশচারীদের গলায় তা আটকে যেতে পারে।
মহাকাশে যে কোনওরকম কোল্ড ড্রিঙ্কস নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। এছাড়াও, বিজ্ঞানীরা তাজা দুধ মহাকাশে নিয়ে যান না। বিজ্ঞানীরা ডিহাইড্রেটেড দুধ মহাকাশে নিয়ে যান। এতে তাঁদের খেতে সুবিধা হয়। চিনি আর নুন না খেয়েই মহাকাশে বছরের পর বছর কাটাতে হয় তাঁদের।
চিনি এবং নুনের মতো খাদ্যদ্রব্য মহাকাশে নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। কারণ, মহাকাশচারীরা মহাকাশে তাঁদের খাবারে নুন দিতে পারেন না। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি না থাকায়, চারিদিকে ভেসে বেরাতে শুরু করে নুন, চিনির দানা। ফলে মহাকাশচারীর চোখ, নাক ও মুখেও আটকে যেতে পারে এগুলি।
তাই চিনি আর নুন ছাড়াই খাবার খেতে হয় তাঁদের। অর্থাৎ মহাকাশচারীরা পৃথিবীতে থাকাকালীন যে যে খাবার পছন্দ করতেন, তার সবটাই ভুলে থাকতে হয় মহাকাশে। এমনকি মহাকাশে মহাকাশচারীরা অ্যালকোহলও নিয়ে যেতে পারেন না। এটি মহাকাশচারীদের মস্তিষ্কের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
তাহলে তারা মহাকাশে কোন কোন খাবার খান? আন্তর্জাতিক মহাকাশ ষ্টেশনের মেনুতে শাকসবজি, ফলমূল, মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে শুরু করে প্রায় শতাধিক খাবারের আইটেম থাকে। তবে তালিকায় যেগুলিকে বাদ রাখা হয়েছে, তার কোনও কিছুই থাকে না।
জানলে অবাক হবেন, প্রতিটি মিশনের জন্য আলাদা আলাদা খাবারের মেনু হয়। আর সেই মিশন শুরু হওয়ার আগেই নভোচারীদের খাবার তালিকা প্রস্তুত করা হয়।
দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকায় খাবার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যাতে কোনওভাবেই খাবার নষ্ট না হয়, সেইজন্য বিজ্ঞানীদের হালকা, সুস্বাদু, পুষ্টিকর খাবার বাছাই করতে হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন