সমকালীন প্রতিবেদন : সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ব্যাপক কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে চলেছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নবম-দশম শ্রেণিতে বর্তমানে দুটি ভাষার পরিবর্তে তিনটি ভাষা পড়া বাধ্যবাধকতা থাকবে।
এই তিন ভাষার মধ্যে অন্তত দুটি হবে ভারতীয় ভাষা। দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে শিক্ষার্থীদের ৫টির বদলে ১০টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। একইভাবে, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে একটির পরিবর্তে দুটি ভাষা পড়তে হবে, যার মধ্যে অন্তত একটি হবে ভারতীয় ভাষা।
দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পাঁচটির পরিবর্তে ছয়টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। সূত্রের খবর, সিবিএসই ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষা নীতি মেনে জাতীয় স্তরে স্কুল শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি ক্রেডিট ভিত্তিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
এই লক্ষ্যে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে একটা আকাদেমিক সমতা তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে কোন শিক্ষার্থী চাইলেই মসৃণভাবে একটি শিক্ষা ব্যবস্থা ছেড়ে অন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়া শুরু করতে পারে।
সিবিএসই-র মতে, স্বাধীনতার পর থেকে ভারতে যে স্কুল পাঠ্যক্রম জারি করা হয়েছিল, তাতে ক্রেডিট-ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার কোনও পরিসর নেই। তাই কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার। সিবিএসই-র পরিকল্পনা অনুযায়ী, কোনও শিক্ষার্থীকে কোনও বিষয় বছরে ১,২০০ ঘণ্টা পড়ানো হবে।
এর মধ্যে আকাদেমিক এবং নন-আকাদেমিক শিক্ষা– দুইই থাকবে। আর এই ১২০০ ঘণ্টার পঠনপাঠনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে ৪০টি ক্রেডিট দেওয়া হবে। নতুন উদ্যোগে সামিল হতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলির পাঠ্যক্রমে আরও বিষয় যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে সিবিএসই।
'ভোকেশনাল' এবং 'ট্রান্সডিসিপ্লিনারি' কোর্সও অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে। গত বছরের শেষদিকেই সিবিএসই-র অধীনে থাকা স্কুলগুলিতে নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির জন্য এই পরিকল্পিত কাঠামোগত পরিবর্তনগুলির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন