Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৪

মহাকাশে ভয়ঙ্কর প্লাজমা বিস্ফোরণ অদ্ভুত শব্দের সৃষ্টি

 

Plasma-explosion

সমকালীন প্রতিবেদন : সূর্যের বায়ুমণ্ডল বা করোনা একটি গতিশীল পদার্থ। এর জন্যই সোলার ফ্লেয়ার এবং করোনাল মাস ইজেকশনের মতো বিস্ফোরণ ঘটে। উল্লেখ্য, এই করোনাল মাস ইজেকশন তখন হয়, যখন সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল থেকে চুম্বকীয় প্লাজমায় বৃহৎ আকারের বিস্ফোরণ ঘটে। 

সেই সময় সূর্য থেকে প্রচুর পরিমাণে প্লাজমা বের হয়। আর তারপরেই তৈরি হয় সৌরঝড়। আর এবার এই সৌরঝড়ের প্রভাব পড়ছে বুধ গ্রহে। তাতেই ভেসে আসছে অদ্ভুত কিছু শব্দ। কিন্তু ঠিক কিসের শব্দ এগুলি? এবার সেটাই দেখে নিই চলুন। 

সৌরজগতে সূর্যের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হওয়ার দরুণ সূর্যের তেজস্ক্রিয় রশ্মি ও সৌরঝড়ের সবচেয়ে প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে বুধে। পাথরের বিশাল একখণ্ড এই গ্রহে নেই কোনও বায়ুমণ্ডল, নেই শক্তিশালী চৌম্বকীয় ক্ষেত্র। আর এবার এই বুধ গ্রহ থেকে শোনা গেল অদ্ভুত কিছু শব্দ। 

সম্প্রতি কার্নাজওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মিতসুনোরি ওজাকি এবং জাপান ও ফ্রান্সের সম্মিলিত গবেষকদল সর্বপ্রথম এই শব্দ আবিষ্কার করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। ইতিপূর্বে পৃথিবী, বৃহস্পতি, শনি বা ইউরেনাস-নেপচুন, সর্বত্রই এই ধরনের প্লাজমার সুর শোনা গেছে। 

তবে বুধের ক্ষেত্রে এই ঘটনা এই প্রথম বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে আকর্ষণ বলয় না থাকা সত্ত্বেও প্লাজমা কণা ধাক্কা খেয়ে কীভাবে এই ধরণের শব্দ তৈরি করছে, তা জানতে উৎসুক গবেষকরা। 

প্রসঙ্গত, এই বছরের শুরুতেই বিজ্ঞানীদের চোখে পড়েছে এক বিশেষ ধরনের ‘অরোরা’, বুধে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র না থেকেও কীভাবে এই অরোরা গঠিত হল, তাই ভাবাচ্ছে মহাকাশ গবেষকদের। তবে গবেষকদের একাংশের মতে, 'পৃথিবী ও বুধে এহেন সুরের নেপথ্যে একইরকমের ইলেকট্রন-ঢেউ থাকতে পারে।' 

এই প্রসঙ্গে নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট মোতাবেক, যেসকল গ্রহের নিজস্ব চৌম্বকীয় ক্ষেত্র দুর্বল, তাদের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে সৌরঝড় ও সূর্যের তেজস্ক্রিয়তা। এক্ষেত্রে, বুধের জন্যও কি একইরকম প্রভাব বিস্তার করেছে জন্মদাত্রী সূর্য? তা সময়ই বলবে!







‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন