সমকালীন প্রতিবেদন : গাজার বুকে প্রায় একমাস ধরে লাগাতার চলছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ভয়ঙ্কর এই সংঘর্ষ থামার কোনও নামগন্ধই নেই। বরং দিন দিন যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমাগতই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে।
ইতিমধ্যে হাজার হাজার মহিলা-পুরুষ-শিশুর প্রাণহানিতে বিধ্বস্ত গাজা। হামাসের রকেট হামলায় ১৪০০ ইজারয়েলির প্রাণহানি হয়েছে। অন্যদিকে, ইজরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছে গাজার প্রায় ৯ হাজার ৬০০ মানুষ।
লাগাতার বোমাবর্ষণে ইতিমধ্যে গাজার মতো ছোট্ট দেশকে দুই ভাগে ভেঙে ফেলেছে ইহুদি দেশ। তবে এরপরও নেতানিয়াহু সরকারের হামলার বিরাম নেই। কিন্তু তারপরেও মারাত্মক হুমকি দিয়েছেন ইজরায়েলের হেরিটেজ মন্ত্রী অ্যামিচাই এলিয়াহু।
হামাস নিধনে যেন শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে ইজরায়েল। এই গোষ্ঠীকে চিরতরে শেষ করতে সবরকম পন্থা অবলম্বন করছে তারা। তবে এবার নেওয়া হতে পারে চরম কোনো পদক্ষেপ। রবিবার ইজরায়েলের ওই মন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, গাজার মানুষ নাৎসি।
হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইজরায়েলের হাতে একটা পন্থা রয়েছে, সেটা হল গাজায় পরমানু বোমা ফেলা। মন্ত্রীর ওই মন্তব্য তোলপাড় শুরু হয়ে যায় আন্তর্জাতিক আঙিনায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এলিয়াহুর ওই মন্তব্যকে অর্থহীন বলে মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু। পাশাপাশি তিনি এলিয়াহুকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়েও দিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'এলিয়াহু যা বলেছেন তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও যোগ নেই। ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স যা করছে, তা আন্তর্জাতিক আইন মেনেই। সাধারণ নিরাপরাধ মানুষের যাতে ক্ষতি না হয়, তার উপরে নজর রেখে চলেছে আইডিএফ। জয় না আসা পর্যন্ত সেটাই আমরা করব। তবে পণবন্দি ইজারায়েলি মানুষদের মুক্ত করার জন্য যা করার তার করবে আমাদের সরকার।'
তবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের এই ঘোষণায় ইতিমধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এশিয়ায়। কারণ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে পরমাণু বোমার ভয়াবহতা দেখেছে গোটা বিশ্ব। তাই এমন ধ্বংসলীলা যে আবার নেমে আসুক পৃথিবীর বুকে, তা কেউই হয়তো চান না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন