সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্যের মধ্যে কালীর শহর বলে পরিচিত নৈহাটি। আর এই শহরের প্রাচীন কালী পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল বড়মায়ের পুজো। কোজাগরী পূর্ণিমায় এই বড়মা কালীর কাঠামো পুজোর মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দেবীর মূর্তি গড়ার কাজ।
ভক্তদের বিশ্বাস, নৈহাটির বড়মা খুবই জাগ্রত। তাঁর কাছে কোনও কিছু চাইলেই তিনি ভক্তদের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। আর এবার এই বড়মায়ের পুজো পদার্পণ করল ১০০ বছরে। তাই এবার মায়ের মন্দিরে আগমন ঘটল এক নতুন মূর্তির।
সম্প্রতি, নৈহাটির বড়মা কালীর নতুন মন্দিরে এসে পৌঁছল কষ্টি পাথরের তৈরি বড়মার মূর্তি। যদিও এখনও সর্বসম্মুখে তুলে ধরা হয়নি নবনির্মিত কষ্টিপাথরের বড়মার মূর্তির কোন ছবি। মন্দির কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও নতুন মূর্তির দর্শন পেতে অপেক্ষা করতে হবে বেশ কয়েকদিন।
কারণ, আগামী কয়েকদিন চলবে শুদ্ধিকরণ ও প্রতিষ্ঠার কাজ। বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে এই সপ্তাহেই। আর তারপরেই সর্বসাধারণের দর্শনের জন্য খুলে দেওয়া হবে নবনির্মিত মন্দির। দেখা মিলবে কষ্টিপাথরের বড়মার মূর্তিও।
উল্লেখ্য, এই মঙ্গলবার থেকেই এই মন্দিরে শুরু হচ্ছে নানা বিশেষ অনুষ্ঠান। পুজো পাঠ, মহাযজ্ঞ কর্মসূচি এবং নতুন মন্দিরের দ্বার উদঘাটন সহ নানা কর্মসূচি রয়েছে আগামী কয়েকদিন। তবে আগামী ২৯ অক্টোবর মাকে দেখা যাবে সশরীরে।
তার আগে ভক্তদের প্রবেশ নিষেধ করেছে মন্দির কমিটি। জানা গেছে, এই কয়েকদিন বন্ধ থাকবে মন্দির। ফলে ভক্তরাও পুজো দিতে পারবেন না এই কয়েকদিন। মায়ের নতুন মূর্তি শুদ্ধিকরণ শেষে তার উদঘাটন হলেই আবার প্রকাশ্যে দেখা মিলবে বড়মার।
নৈহাটির এই বড় মাকে নিয়ে মানুষের আবেগ, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সীমা নেই। দূর দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ আসেন মা কালীর দর্শনে। দেশ দেশান্তরের মানুষ এসে মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে যান।
তাই এই জাগ্রত মায়ের কৃপা লাভে হাজার হাজার মানুষ আকৃষ্ট হন দেবী বন্দনায়। আর তাই হয়তো বলা হয়, 'ধর্ম হোক যার যার, বড়মা সবার।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন