সমকালীন প্রতিবেদন : ইজরায়েল বনাম হামাস যুদ্ধে মুহুর্মুহু বোমা বর্ষণে ধ্বংসের আকার নিয়েছে গাজা ভুখন্ড। গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে যুদ্ধে আহতরা চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই বোমা বিস্ফোরণ হয়।
স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, হামলায় প্রাথমিকভাবে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল। পরবর্তীকালে মৃতের সংখ্যা কোথায় পৌঁছেছে তা প্রকাশ্যে আসেনি। হামাস গোষ্ঠীর অভিযোগ, এই হামলা তেল আভিভের সেনাবাহিনীই চালিয়েছে।
যদিও সেই দাবি নাকচ করে দিয়েছে ইজরায়েল। এর পরেও অসামরিক সাধারণ মানুষের উপর হামলার ঘটনায় গোটা পৃথিবীর নিন্দার মুখে পড়েছে ইজরায়েল। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ওই কাজ ইজরায়েলের নয়, অন্য পক্ষ করেছে।
উত্তেজনার এই আবহে বুধবার ইজরায়েল সফরে গিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন বাইডেন। এর পর ইজরায়েলের সুরে সুর মিলিয়ে দাবি করেন, হাসপাতালে হামলার পিছনে অন্য কোনও গোষ্ঠী জড়িত। এই বক্তব্যেই সিলমোহর দিয়ে সরাসরি হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হল, গাজার হাসপাতালে হামলার সঙ্গে ইজরায়েল জড়িত নয়।
এরই মাঝে ইজরায়েল প্রকাশ করল এক অডিও, যেখানে হামাসের সদস্যরা গাজার হাসপাতালে বোমা বর্ষণ নিয়ে কথা বলছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ইজরায়ল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ-এর প্রকাশ করা অডিওতে দাবি করা হয়েছে, ওই কথপোকথন হামাসের জঙ্গিদের।
হামাস কর্মকর্তারা সেখানে আলোচনা করছেন, ভুলবশত সেই রকেট গিয়ে পড়েছে গাজার হাসপাতালে। অডিওর কথোপকথনের সূত্রে দাবি করা হয়েছে, প্যালেস্তাইনের কোনও কবরস্থল থেকে ওই রকেট হামলা করা হয়েছে। কথপোকথনে শোনা যাচ্ছে, ‘এটা মিস ফায়ার হয়ে গিয়েছে, আর ওদের ওপর পড়েছে।’
ইজরায়েল এও দাবি করেছে যে, যে শার্পনেল ওই হাসপাতালে পড়েছে সেই শার্পনেল ইজরায়েলের নয়, ওখানকার স্থানীয় শার্পনেল। ফলে গাজার হাসপাতালে আছড়ে পড়া রকেট হামাসের বলে দাবি ইজরায়েলের।
আইডিএফের দাবি, গাজা থেকে জঙ্গিরা একগুচ্ছ রকেট নিক্ষেপ করছে। আর গাজার আল আহলি হাসপাতালের খুব কাছ থেকে সেই রকেট নিক্ষেপ হচ্ছে। কিন্তু যে দেশ বা গোষ্ঠী এই কাজ করুক না কেন, মানুষের প্রাণ নিয়ে খেলা কি আদৌ মানবিক? উঠছে প্রশ্নটা।










কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন