সমকালীন প্রতিবেদন : দেশের বক্স অফিসে অপ্রতিরোধ্য শাহরুখ খানের 'জওয়ান'। ৭ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমীতে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। তারপর থেকে একের পর এক মাইলস্টোন গড়েছেন শাহরুখ। যদিও সিনেমার টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে যায় সেই ১ সেপ্টেম্বর থেকেই। মুক্তির আগেই প্রি বুকিং থেকে ছবি আয় করেছিল ৩০ কোটির বেশি। তারপর প্রথম দিনে জওয়ানের আয় ছিল ৭৫ কোটি।
এরপর প্রথম রবিবারে, সর্বোচ্চ আয় করে এই সিনেমা। ৮০.১ কোটির ব্যবসা করে সকলকে চমকে দেন কিং খান। বিশ্ববাজারেও কিন্তু চলেছে 'জওয়ান'-এর রমরমা। ইউকে, কানাডা, দুবাই, বাংলাদেশের মতো দেশেও পাঠানের টিকিট বিক্রির হিড়িক ছিল মারাত্মক। বিশ্বব্যাপী জওয়ানের আয় এই মুহূর্তে পেরিয়েছে ১১০০ কোটির ঘর। দেশের বক্স অফিসে এই ছবির বর্তমান আয় ৬০০ কোটি টাকার বেশি।
উল্লেখ্য, শাহরুখ খানকে এই ছবিতে দর্শক দেখেছেন ডবল রোলে। বাবা-ছেলে দুজনের ম্যাজিকেই বুঁদ সিনেপ্রেমীরা। আজাদ আর বিক্রম রাঠোরের ঘোর যেন কাটছে না কারোরই। তাই হয়তো রবিবারই ৬০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করে নতুন ইতিহাস লিখলেন কিং খান।
জওয়ান নিয়ে এত মাতামাতি সর্বত্র। নিশ্চয় মনে প্রশ্ন জাগছে বাংলা থেকে কত কোটির লক্ষ্মীলাভ করলেন শাহরুখ? উল্লেখ্য, এর আগে শাহরুখের পাঠান বাংলায় ৩৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। জওয়ান সেই রেকর্ড ভেঙে দিল। ২৪ দিনে পশ্চিমবঙ্গে এই ছবি আয় করেছে ৪০ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, বছরের শুরুতেই ‘পাঠান’ হয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কিং খান ‘জিন্দা হ্যায়’। তার কয়েক মাস পর শাহরুখ পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি আজও বক্স অফিসের ‘জিন্দা বান্দা’। দেখতে দেখতে কয়েক সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখনো রমরমিয়ে চলছে ‘জওয়ান'। নিয়মিতই ভাঙছে একের পর এক রেকর্ড।
এখনও পর্যন্ত যা হিসেব পাওয়া গিয়েছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, অ্যাটলির ছবিটি হয়ে গিয়েছে সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করা বলিউডের দ্বিতীয় ছবি। সেই সঙ্গে কিং খানও প্রমান করে দিলেন যে, কেন তাকে বলিউডের 'বাদশা' বলে ডাকা হয় আজকের দিনেও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন