Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সূর্যের আলো ফুটতেই আবার কি চাঁদের বুকে ছুটোছুটি করবে রোভার প্রজ্ঞান?

 

Rover-Progyan

সমকালীন প্রতিবেদন : গত ২৩ অগস্ট চাঁদের মাটি স্পর্শ করে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। এরপর টানা কাজ করার পর গত ৪ সেপ্টেম্বর ঘুমোতে যায় সে। প্রায় একই সময় চন্দ্রযান ৩-এর রোভার প্রজ্ঞানও ঘুমোতে যায়। তবে শীঘ্রই ঘনিয়ে আসছে বিক্রম ও প্রজ্ঞানের ঘুম ভাঙানোর সময়। 

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ফের সূর্যের আলো পড়লে বিক্রম ও প্রজ্ঞান ফের জেগে উঠবে বলে আশা করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। উল্লেখ্য, বিক্রমে থাকা সৌরশক্তি পুরোপুরি শেষ হয়ে গেলে এবং ব্যাটারি শেষ হয়ে গেলে এটি আপনাআপনি ঘুমিয়ে পড়ে। 

প্রজ্ঞানের ক্ষেত্রেও এই একই ঘটনা ঘটেছে। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর ফের চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্যের আলো পড়লে বিক্রম জেগে উঠবে বলে আশা করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তখন রোভার প্রজ্ঞানকেও জাগানোর চেষ্টা করবেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

প্রসঙ্গত, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে একটানা ১৪ দিন সূর্যের আলো থাকে না। সেই সময় সেখানকার তাপমাত্রা মাইনাস ২০০ ডিগ্রিতে নেমে যায়। এদিকে ইসরো আগেই জানিয়েছিল, নিজের মিশনের লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গিয়ে সফল হয়েছে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। 

বিক্রমে রয়েছে 'চন্দ্র সারফেস থার্মো-ফিজিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট' নামক একটি পেলোড, যা চাঁদের তাপমাত্রা খতিয়ে দেখেছে। তাছাড়া, বিক্রমে রয়েছে লুনার সেসমিক অ্যাক্টিভিটি প্রোব বা ইলসা নামক একটি পেলোড। এই সেন্সর মহাজাগতিক গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রেখেছে। 

এছাড়াও বিক্রমে রয়েছে লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর অ্যারে, রেডিও অ্যানাটমি অফ মুন বাউন্ড হাইপারসেনসিটিভ আয়নস্ফিয়ার অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ার বা 'রম্ভা'। রম্ভা চাঁদের মাটিতে থাকা প্লাজমার ঘনত্ব মাপছে।  

ইসরোর তরফে জানানো হয়, ঘুমোতে যাওয়ার আগে সফলভাবে 'হপ এক্সপেরিমেন্ট' সম্পন্ন করেছে বিক্রম। অর্থাৎ, চাঁদের মাটি থেকে লাফিয়ে উঠে দ্বিতীয়বারের জন্য সফলভাবে সফট ল্যান্ডিং বা অবতরণ করেছে বিক্রম। 

এই সাফল্যের সুদূরপ্রসরিত তাৎপর্য রয়েছে, যা নিয়ে আভাস দিয়েছে ইসরো। তাই আগামী ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদের দিকেই তাকিয়ে থাকবে গোটা ভারত। হয়তো আবার এক অন্য ইতিহাসের গল্প লেখা শুরু হবে সেইদিন। সেই সুদিনের কামনায় দেশবাসী। 







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন