সমকালীন প্রতিবেদন : ভারতীয় মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ শেষ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে আমাদের চাঁদমামার কাছে। চাঁদমামার দেশে দেদার ঘুড়ে ঘুড়ে তথ্য সংগ্রহ করে ইসরোর কাছে পাঠাচ্ছে রোভার প্রজ্ঞান ও ল্যান্ডার বিক্রম। তবে আজকের এই খবর তাদের এই কাজ কিম্বা চন্দ্রযানকে নিয়ে নয়, বরং চাঁদ কে কেন 'মামা' বলে সম্বোধন করা হয়, মামা বলে ডাকার পেছনের আসল কারণ কি, তাই নিয়ে।
যদিও কিছু ক্ষেত্রে চাঁদকে অনেকেই নিজের প্রেমিকার সঙ্গেও তুলনা করে থাকেন। তবুও বেশিরভাগ ভারতীয়দের ক্ষেত্রে চাঁদ সবসময় তাদের মামা হয়েই থাকবে। তবে চাঁদকে এই মামা সম্বোধনের পেছনে রয়েছে একটি সুন্দর পৌরাণিক কাহিনী।
আপনারা কি জানেন, কি সেই পৌরাণিক গল্প? কেনই বা এতরকম সম্পর্ক থাকতে চাঁদকে আমরা মামা হিসেবেই দেখি! চিন্তা নেই, সেই গল্পই জানাতে হাজির হয়েছি আমরা। চলুন এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক, চাঁদমামা এবং আমাদের সম্পর্কের মাঝে বেশ কিছু অজানা রহস্য।
পুরাণ অনুসারে, দেবতা এবং অসুরদের মাঝে যখন সমুদ্র মন্থন হচ্ছিল, তখন অমৃত বাদে আরও অনেক কিছুই উঠে এসেছিল। যার মধ্যে অবশ্যই রয়েছে বারুণী, হলাহল বিষ, মা লক্ষ্মী এবং চন্দ্রমাও।
এইবার যেহেতু, মা লক্ষ্মীর ঠিক পরেপরেই সমুদ্রমন্থন থেকে চাঁদের উদয় হয়েছিল, সেইজন্য চাঁদকে মা লক্ষ্মীর ভাই মানা হয়ে থাকে। আর সমস্ত ভারতীয়রা মালক্ষ্মীকে নিজের মায়ের রূপেই দেখেন। সেই জন্য সম্পর্ক অনুযায়ী মায়ের ভাই হয়ে উঠল আমাদের সকলের প্রিয় মামা, চাঁদমামা।
চাঁদকে মামা বলার কারণ আমরা এখানে খুঁজে পেলেও এটিই কিন্তু একমাত্র মান্যতা নয়। অনেকে আবার মনে করে থাকেন যে, এই পৃথিবী এবং প্রকৃতিকেও যেহেতু আমরা মা রূপে সম্মান করি, তাই সেই পৃথিবী মাকে যে চাঁদ সারাক্ষণ ভাইয়ের মতো করে আগলে রাখছে, তাকে আমরা কিভাবে মামা রূপে ভালোবেসে না থেকে পারি!
আর এখানেই ভারতবর্ষ অন্যান্য দেশের থেকে আলাদা। ভারতবর্ষই এমন একটি দেশ, যেখানে বিজ্ঞান এবং পুরাণ একে অপরের সঙ্গে মিশে গিয়ে প্রতিটি মানুষের মধ্যে সংস্কৃতি হয়ে বেঁচে থাকে। এটাই ভারতবর্ষের ঐতিহ্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন