Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

৭ বছর পর ধ্বংসাত্মক বেন্নুর স্যাম্পেল পৃথিবীতে আনছে আমেরিকা

সমকালীন প্রতিবেদন : পৃথিবীর সবথেকে কাছেই থাকে এক বিশালাকার গ্রহাণু। এই গ্রহাণুর আঘাতেই নাকি বার বার ধ্বংস হয়েছে পৃথিবীর প্রাণীকূল। পাঁচশো মিটার ব্যাস বিশিষ্ট এই গ্রহাণু প্রতি ছ’বছরে একবার পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে প'‌ড়ে তার খুব কাছ ঘেঁষে চলে যায়। 

বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, আগামী ২১৭৫ থেকে ২১৯৬ সালের মধ্যে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে পারে বেন্নু। মনে করা হয়, এই বেন্নুর জন্যই পৃথিবী থেকে হারিয়ে গিয়েছে ডাইনোসরেরা। আবার সে আছড়ে পড়লে দেড় হাজার মিটার গভীর ক্ষত সৃষ্টি হবে পৃথিবীর বুকে। 

কিন্তু কেন এতটা শক্তিশালী এই গ্রহানু। গত কয়েক বছরের গবেষণায় জানা গেছে, বেন্নুর পিঠের কঠিন রূপ গড়ে উঠেছে কার্বন ও হাইড্রোজেন পরমাণুর সাহায্যে। যা প্রাণের উৎসের অন্যতম কারণ। এর বিস্তারিত বিশ্লেষণের জন্যই তার পিঠের অংশ থেকে কুড়িয়ে আনা হয়েছে পাথুরে অংশ।

এবার এই বেন্নুর রহস্যভেদ করতে চলেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। সেই উদ্দেশ্যেই ২০১৬ সালে নাসার একটি মহাকাশযান পাড়ি দিয়েছিল মহাশূন্যে। অবশেষে ফিরছে নাসার মহাকাশযান ‘ওসিরিস-রেক্স’। 

জানা গেছে, এই মহাকাশযান ওই গ্রহাণু থেকে এক টুকরো পাথর খুবলে নিয়েছিল। ২০২০ সালের অক্টোবরে বেন্নুর খুব কাছে পৌঁছে যায় ওসিরিস। তার আগে দীর্ঘ সময় যানটি টানা চক্কর খেয়েছিল বেন্নুর কক্ষপথে। 

তারপর গ্রহাণুটির পিঠ ছুঁয়ে মাত্র পাঁচ সেকেন্ডে একটি পোগো স্টিকের সাহায্যে খুবলে নিয়েছিল প্রায় ৬০ গ্রাম নুড়ি-পাথর। সেই নমুনা এবার হাতে পাবেন বিজ্ঞানীরা। ওসিরিসের মধ্যে থাকা মাইক্রোওয়েভ রেডিওর একটি বড় অংশ প্রস্তুত করেছেন বিজ্ঞানী প্রতাপ প্রামাণিক। 

তিনি জানাচ্ছেন, ওসিরিসের কাজটা ছিল অত্যন্ত কঠিন। নাসার বিজ্ঞানীদের তাই দিন কাটছিল উৎকণ্ঠায়। কেননা গ্রহাণুটির পৃষ্ঠতলটি যেমন ভাবা গিয়েছিল, তেমনটা বাস্তবে ছিল না। তাই শেষ মুহূর্তে রি–প্রোগ্র্যাম করা হয়েছিল সব কিছু। আর সেই পরিবর্তন সম্পূর্ণ সফল হওয়ায় অনায়াসেই এসেছে সাফল্য। 

এবার তার ঘরে ফেরার পালা। এবার ওসিরিসকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সকলে। সব কিছু ঠিক থাকলে ৭ বছরের সফর শেষে ২৪ সেপ্টেম্বরই তার পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা। স্বাভাবিকভাবেই মহাকাশবিজ্ঞানীদের মধ্যে এই বিষয় নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে।







‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন